ভারতের সমস্যার সমাধান হয়েছে, বাংলাদেশের নয়: ফখরুল

ভারতের সঙ্গে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের ‘সুসম্পর্ক’ থাকলেও তিস্তার পানি বন্টনসহ অমীমাংসিত বিষয়গুলো সমাধানের হওয়ার কোনো আশা দেখেন না বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 August 2019, 12:58 PM
Updated : 19 August 2019, 12:58 PM

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের বাংলাদেশ সফরে আসার আগে সোমবার দুপুরে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

সোমবার রাতে তিনদিনের সফরে ঢাকায় আসার কথা রয়েছে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করের। সফরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন তিনি।

জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিএনপি মহাসচিব।

জয়শঙ্করের এ সফরে ‘খুব বেশি প্রত্যাশা নেই’ জানিয়ে ফখরুল বলেন, “আমরা গত ১০-১২ বছরে শুনলাম এই আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক সুউচ্চ পর্যায়ে আছে, খুব ভালো পর্যায়ে আছে।

“এখন পর্যন্ত আমাদের তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আমরা পাইনি, সীমান্তে হত্যা বন্ধ হয়নি, আমাদের বাণিজ্যে যে ঘাটতি রয়েছে, ইমব্যালেন্স রয়েছে সেটাকে পূরণ করবার কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আমাদের কোনো সমস্যারই সমাধান হয়নি। যেটা হয়েছে ভারতের সমস্যাগুলোর সমাধান হয়েছে। সেজন্যই আমরা খুব একটা আশাবাদী হতে পারছি না।”

ত্রিপুরায় বিমানবন্দর সম্প্রসারণের জন্য বাংলাদেশের কাছে ভারতের জমি চাওয়ার বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, “পত্রিকায় খবর এসেছে। এই খবর আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেছি। বাংলাদেশ সরকার এখন পর্যন্ত এটাতে রাজি হয়নি। রাজি হওয়ার প্রশ্নই নেই। কারণ আমার দেশের জমি অন্য কাউকে দেওয়ার প্রশ্নই উঠতে পারে না।”

১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্টের ঘটনার সাথে জিয়াউর রহমানের যোগসাজশ ছিল বলে জাতীয় শোক দিবসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “তারা দীর্ঘকাল ধরে এই ইতিহাসকে বিকৃত করার চেষ্টা করেছেন। এটা ধ্রুবতারার মতো সত্য যে, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন, মুক্তি দিয়েছিলেন। তিনি কোনো মতেই কোনো হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিলেন না- এটা ইতিহাস প্রমাণিত।”

পাল্টা আওয়ামী লীগের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “জড়িত ছিলেন তাদের লোকেরা, যারা পরবর্তীতে সরকার গঠন করেছে এবং তার পরবর্তীতে পার্লামেন্টে গেছে, পার্লামেন্ট গঠন করেছে, তারাই এর সঙ্গে জড়িত।”

কোরবানির পর পশুর চামড়া নিয়ে সঙ্কটে বিএনপি জড়িত বলে শিল্পমন্ত্রীর অভিযোগ নজরে আনা হলে ফখরুল বলেন, “এরা  তো কেউ দেশ চালাতে পারছে না, তারা ব্যর্থ হয়েছে। পার্লামেন্ট বলুন আর সরকার বলুন এখানে জনগণের কোনো প্রতিনিধিত্ব নাই। এই ধরনের অর্বাচীনের মতো কথাবার্তা বলা ছাড়া তাদের তো কিছু করার নাই।”

শ্রদ্ধা নিবেদনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, কেন্দ্রীয় নেতা শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, ফজলুল হক মিলন, আজিজুল বারী হেলাল, মীর সরফত আলী সপু, তাবিথ আউয়াল, যু্বদলের সাইফুল আলম নিরব, মহানগর বিএনপির বজলুল বাসিত আনজু, স্বেচ্ছাসেবক দলের মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।