অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত বস্তিবাসীদের পুনর্বাসন করা হবে: কাদের

অগ্নিকাণ্ডে মিরপুরের চলন্তিকা বস্তির ক্ষতিগ্রস্তদের ঘরবাড়ি করে দিয়ে সরকার পুনর্বাসন করবে বলে জানিয়েছেন পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 August 2019, 11:50 AM
Updated : 20 August 2019, 09:05 AM

ক্ষতিগ্রস্ত বস্তিবাসীদের মধ্যে সোমবার ত্রাণ বিতরণ করতে গিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “অনেকে এসে এখানে নামকাওয়াস্তে রিলিফ দেওয়ার নামে লিপ সার্ভিস দিয়েছেন, বক্তৃতা করেছেন, দোষারোপ করে সরকারের ঘাড়ে দোষ চাপিয়েছেন, স্থানীয় সাংসদের ব্যাপারে বিষোদগার করেছেন। যে এখান গরিব দুঃখিদের পাশে সবসময় থাকে, তার বিরুদ্ধে কথা বলে গেছেন।

“আমি আপনাদের আশ্বস্ত করছি আমরা এই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যতদিন সাহ্যয্যের দরকার, ত্রাণের দরকার, পুনর্বাসন পর্যন্ত.... শেখ হাসিনা সরকার আপনাদের পাশে আছে।”

গত শুক্রবার রাতে তিন ঘণ্টার আগুনে পুড়ে যায় মিরপুর-৭ নম্বরের চলন্তিকা বস্তির কয়েকশ ঘর। এতে প্রায় তিন হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বস্তিবাসীদের সাহস দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “আপনারা নিজেদের অসহায় ভাববেন না, শেখ হাসিনা আপনাদের পাশে আছে। একদিকে সারাদেশে ডেঙ্গু আতঙ্ক, এর মধ্যে অগ্নিকাণ্ড এই এলাকার মানুষের মধ্যে অবর্ণনীয় দুঃখ-কষ্ট নিয়ে এসেছে। এই ব্যাপারে আমরা অবহিত।”

বিএনপি মহাসচিবের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “আমরা কথায় বিশ্বাস করি না, কাজে বিশ্বাস করি। এই মানুষ যারা ঘরবাড়ি, সহায়-সম্বল হারিয়েছে, তারা কথা শুনতে চায় না, ভাষণ শুনতে চায় না। তারা সাহায্য চায়, পুনর্বাসন চায়। তারা বাঁচার মতো বাঁচতে চায়। আমরা সেই ব্যবস্থা করব।

“মির্জা ফখরুল সাহেব এখানে এসে বিষোদগার করে গেছেন। কি নিয়ে এসেছেন, কি সাহায্য নিয়ে এসেছেন? শুধু বক্তব্য দিয়ে গেছেন।”

খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে বিএনপি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যাওয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে প্রসঙ্গে কাদের বলেন, “খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে পারেনি, দেড় বছরে দেড় মিনিটও আন্দোলন করতে পারেনি। এখন দেশের জনগণকে নিয়ে আন্দোলন করতে ব্যর্থ হয়ে বিদেশিদের কাছে নালিশ করবে। আদালতে ব্যর্থ, রাজপথে ব্যর্থ। এখন বিদেশি দূতাবাসে এখানকার কুটনীতিকদের কাছে বারবার নালিশ করছে।

“এখন নাকি জাতিসংঘেও ধর্না দেবে। যারা দেশের জনগণের সমর্থন লাভে ব্যর্থ তাদের বিদেশে গিয়ে নালিশ করা ছাড়া আর কোনো অবলম্বন নেই। সেজন্য অসহায়ের মতো বিদেশিদের কাছে গিয়ে কান্নাকাটি করবে। শেষ পর্যন্ত জাতিসংঘের দারস্ত হচ্ছে। রাজনীতিতে বিএনপি যে কত দেউলিয়া সেটা প্রমান হয়েছে।”    

ঈদে দুর্ঘটনার কারণ খুঁজতে বৈঠক হবে

এবার ঈদযাত্রায় সড়ক-মহাসড়কে দুর্ঘটনার কারণ খুঁজতে বৈঠকে বসবেন বলে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

“এ ব্যাপারে তিন-চারদিনের মধ্যে সড়ক নিয়ে আমরা যে কমিটি করেছি এই কমিটির একটা রিপোর্ট আছে, সেটা নিয়ে আমি কথা বলব। কেন এতো দুর্ঘটনা ঘটছে এরও কারণ অনুসন্ধান করতে হবে। যারা এ জন্য দায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এই ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে এরই মধ্যে বৈঠক ডেকেছি।”

বেসরকারি সংস্থা বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির হিসাবে, গত ১২ অগাস্ট অনুষ্ঠিত কোরবানির ঈদের আগে-পরের ১২ দিনে সারা দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ২২৪ জন নিহত এবং ৮৬৬ জন আহত হয়েছেন।

দুর্ঘটনার জন্য সংগঠনটি যে নয়টি কারণ চিহ্নিত করেছে, তার শুরুতেই রয়েছে ‘বেপরোয়া গতিতে যানবাহন চালানো’।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীও একই কথা বলেছেন।

“ঈদের সময়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় অনেকে করে, অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার জন্য বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালায়। অনুসন্ধান করে দেখা গেছে, এভাবে শত শত গাড়ি রাস্তায় চলাচলের কারণে দুর্ঘটনা ঘটলে মৃত্যুর হারটা বেড়ে যায়। অন্যদিকে অতিরিক্তি লাভের জন্য বেপরোয়া গতির গাড়ি সড়ক দুর্ঘটনার কারণ।”