শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘সিরিজ বোমা হামলা ২০০৫: মৌলবাদ-জঙ্গিবাদ ও আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, “বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড, ১৭ অগাস্ট ও ২১ অগাস্টের ঘটনা একই সূত্রে গাঁথা। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ছক ১৯৭৩ সালে আমেরিকায় গিয়ে জিয়া এঁকেছে। তিনিই এই ছক কষেছিলেন। কেন তিনি আমেরিকায় গিয়েছিলেন, তা বের করার জন্য উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন তদন্ত কমিশন গঠন করতে হবে।
“কেন তিনি আমেরিকায় গেলেন? কেন একটি সুটকেস আনার জন্য উঠে পড়ে লাগলেন? জিয়া হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করেছে। এই ব্যাপারটিও তদন্তে আনা উচিত। জিয়াকে ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপের জন্য এই দুটি তদন্ত কমিশন গঠন করা দরকার। জাতির সামনে উনার মুখোশ উন্মোচন করা দরকার৷ ”
বিচারপতি মানিক বলেন, “জিয়া শুধু বঙ্গবন্ধু হত্যার মূল নায়ক ছিলেন তা নয়, তিনি দেশকে ধ্বংস করে দিয়ে গিয়েছিলেন। তা কাটিয়ে উঠতে অনেক দিন লেগেছে। বর্তমান সরকার তাদের দাবিয়ে রেখেছে, স্তিমিত করেছে, কিন্তু তারা শেষ হয়ে যায়নি।”
জিয়াউর রহমানের পূর্বসূরিরা ‘জঙ্গিবাদের সঙ্গে ছিলেন’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, “ইতিহাস ঘাটলে দেখা যাবে জিয়ার পূর্বসূরিরা জঙ্গিবাদের রাজনীতি শুরু করেছিল। মোনায়েম খানের নীতি নিয়েই জিয়ার জন্ম।
“সেই মোনায়েম খান ন্যাশনাল স্টুডেন্ট ফোরাম নামে সন্ত্রাসী ছাত্র সংগঠন করে তাদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছিল। ১৯৭১-এর যুদ্ধের মধ্য দিয়েই এগুলো সব নিঃশ্বেষ হয়ে গেছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আবার তা শুরু করেন মোনায়েম খানের উত্তরসূরি জিয়াউর রহমান।”
সাম্প্রতিক সময়ে দেশে হিন্দুদের সংখ্যা বেড়েছে দাবি করে তিনি বলেন, “পূর্বে দেশে হিন্দুদের সংখ্যা কমলেও বর্তমানে তা বেড়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে দেশে হিন্দুদের সংখ্যা ২ শতাংশ বেড়েছে। যারা চলে গিয়েছিল তারা ফিরে আসবে। আমরা চাই, তারা ফিরে আসুক। কারণ বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ।”
সংগঠনের সভাপতি কবীর আহমেদ চৌধুরী তন্ময়ের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আবদুর রশীদ ও মোহাম্মদ আলী সিকদার, বীর প্রতীক অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল কাজী সাজ্জাদ আলী জহির।