কাশ্মীর নিয়ে সব পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান ফখরুলের

কাশ্মীরের মানুষের উপর নির্যাতন-নিপীড়ন বয়ে আনবে বা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার অভাব ঘটাবে এমন কোনো পদক্ষেপ না নিতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 August 2019, 06:10 PM
Updated : 11 August 2019, 06:10 PM

রোববার সকাল ১১টার দিকে ঠাকুরগাঁও শহরের কালিবাড়ি এলাকায় নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সামনে একথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, “কাশ্মীরের বিষয়টা আন্তর্জাতিকভাবে গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়নি বলে আমরা মনে করি। প্রতি মুহূর্তে কাশ্মীরের কোটি কোটি মানুষ নির্যাতিত-নিপীড়িত হচ্ছে। কাশ্মীরের সমস্যা সমাধান না হওয়ার কারণে জাতি হিসেবে তারা বিলীন হওয়ার উপক্রম হয়েছে।”

ভারত ও পাকিস্তানকে কাশ্মীর বিষয়ে সংযত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া উচিত না যা ওই এলাকার মানুষের উপর নির্যাতন-নিপীড়ন বয়ে আনবে; অথবা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার অভাব ঘটাবে। আমরা চাইব সকল পক্ষ সংযত থাকবে, কাশ্মীরের জনগণের স্বার্থ সামনে রেখে সব সিদ্ধান্ত নেবে।”

ভারতের সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জম্মু ও কাশ্মীরকে দেওয়া বিশেষ মর্যাদা তুলে নিয়ে দেশটির পার্লামেন্ট এলাকাটিকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করে।

ভারতের ওই পদক্ষেপকে ‘একতরফা ও অবৈধ’ অ্যাখ্যা দিয়েছে পাকিস্তান। ইসলামাবাদ এ বিষয়টি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে তোলারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

কাশ্মীর নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানকে ‘সর্বোচ্চ সংযম’ প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তনিও গুতেরেস। এবিষয়ে ১৯৭২ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সিমলা চুক্তির কথা স্মরণ করিয়ে দেন তিনি।

ঈদের সময় মানুষ ডেঙ্গু ও বন্যা নিয়ে কষ্টে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আমরা সারাদেশের মানুষকে বিএনপির পক্ষ থেকে ঈদ শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।”

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদার প্যারোলে মুক্তির বিষয়ে তিনি বলেন, “আমরা প্রথম থেকে বলে আসছি, দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে রাজনৈতিক মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে। .. তিনি বাইরে থাকলে যারা এখন শাসকগোষ্ঠী আওয়ামী লীগ তারা জনগণের কাছে সেইভাবে গ্রহণযোগ্যতা পায় না।”

তাকে শারীরিকভাবে ‘অসুস্থ’ উল্লেখ করে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “মানবিক কারণেই তো মামলা থেকে তাকে জামিন দেওয়া যায়। কিন্তু দুর্ভাগ্য! আওয়ামী লীগ সরকার এত বেশি অমানবিক ও এত বেশি বেআইনি কাজে অভ্যস্ত হয়ে গেছে যে তারা এখন জিনিসটা লক্ষ্য করছে না।”

জেলা বিএনপির সহ সভাপতি সুলতানুল ফেরদৌস, নুরে শাহাদাত স্বজন, জেলা যুবদলের সভাপতি মহেবুল্লাহ চৌধুরী আবু নুর, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি কায়ের ও সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ।