শনিবার সকালে গুলশানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে লিফলেট বিতরণের আগে তিনি বলেন, “আজকে স্টিমার ঘাটে, লঞ্চঘাটে ভয়ংকর ভিড়। আরিচা ঘাটে ৪০ কিলোমিটার, ২৫ কিলোমিটার দীর্ঘ লাইন, ভয়ংকর যানজট। ট্রেনের ভেতরে প্যাক্টআপ এবং ট্রেনের ছাদ প্যাক্টআপ। এই যে ঈদের সময়ে ঘরে ফেরা মানুষের যাওয়ার যে প্রস্তুতি সেটাকে সরকার নির্বিঘ্ন কখনো করেনি। তাদের অব্যবস্থাপনার কারণেই … ।
“তার ওপর বৃষ্টির মধ্যে রাস্তাঘাট খানা-খন্দ হয়ে পড়ে আছে। গাড়িঘোড়া-যানবাহন কিছুই চলতে পারছে না। এক ভয়ঙ্কর দুযোর্গের মধ্যে, দুর্বিপাকের মধ্যে এই দেশ অতিবাহিত করছে।”
রিজভী বলেন, “ঈদের সময়ে মানুষ বাড়ি যাবে নির্বিঘ্নে, কেন পথের মধ্যে মরে পড়ে থাকবে? কেন আমাকে সিডিউল ট্রেন পেতে ১২ ঘণ্টা বার, ২৪ ঘণ্টা, ৪৮ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে। তাহলে উন্নয়নের যে কথা বলা হচ্ছে- এটা কথার ফুলঝুড়ি ছাড়া আর কিছুই না।”
এডিস মশা নির্মূলে সরকারের ব্যর্থতার সমালোচনা করে তিনি বলেন, “এখন যে ওষুধ দিচ্ছে সেটাতে তো মশা মরছে না। ওই ওষুধে মশা শান্তির ঘুম ঘুমায়, ৫ মিনিট পরেই আবার মশা জাগ্রত হয়ে কামড় দেয়। এটা মশা মারার নয়, মশাকে সমায়িকভাবে ঘুম পাড়ানোর ওষুধ।
“তাহলে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে বিদেশ থেকে যে মশার ওষুধ আনল, সে টাকা কোথায় গেল, কার পকেটে গেল- এটা আজকে জনগণের জিজ্ঞাসা। এটা কিসের ওষুধ দেওয়া হচ্ছে? এটা সম্পূর্ণ ফাঁকিবাজী, জোচ্চুরি, এই জোচ্চুরি করেই তারা ক্ষমতায় থাকতে চাচ্ছে।”
গুলশানে ডিএনসিসি মার্কেটে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের নেতাদের নিয়ে ডেঙ্গু প্রতিরোধে দলের প্রকাশিত লিফলেট বিতরণ করেন রিজভী।
বিএনপির মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান, সহসভাপতি আবুল হোসেন প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।