এইডিস মশার মতো ‘গবুচন্দ্র’ মন্ত্রীদের বিস্তার: রিজভী

অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে ডেঙ্গুর যে সম্পর্কত প্রাণঘাতি ডেঙ্গুর বিস্তার নিয়ে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্যের বক্তব্যকে ‘শক অব দ্য সেঞ্চুরি’ বলেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 August 2019, 10:30 AM
Updated : 9 August 2019, 10:30 AM

তিনি বলেন, “প্রতিমন্ত্রীর এহেন বক্তব্য শুনে একে ‘টক অব দ্য সেঞ্চুরি’ বলব, নাকি ‘শক অব দ্য সেঞ্চুরি’ বলব, এ নিয়ে আমি এবং দেশের মানুষও দ্বিধায় পড়ে গেছি। কী বলব?

“মধ্য রাতের নির্বাচন করে আওয়ামী মন্ত্রিসভায় এইডিস মশা বিস্তারের মতো গবুচন্দ্র মন্ত্রীদেরও বিস্তার ঘটেছে। গবুচন্দ্র মন্ত্রীদের হাসি-তামাশা উদ্রেককারী কথা-বার্তার কমতি দেখা যাচ্ছে না। স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী কোন ব্যুরো থেকে তথ্যসমূহ সংগ্রহ করেছেন, তা জানালে দেশবাসীর উপকার হত।”

প্রতিমন্ত্রী স্বপন বৃহস্পতিবার গোপালগঞ্জে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, “ডেঙ্গু এলিট শ্রেণির একটি মশা। এ মশা সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, কলকাতা শহরে দেখা যাচ্ছে। এখন বাংলাদেশ উন্নত দেশ হতে যাচ্ছে। তাই এখন দেশে ডেঙ্গু এসেছে।”

শুক্রবার নয়া পল্টনে সংবাদ সম্মেলনে রিজভী প্রতিমন্ত্রীকে প্রশ্ন রেখে বলেন, “উন্নত হলে যদি প্রকোপ বৃদ্ধি পায়, তাহলে লন্ডন, নিউ ইয়র্ক, প্যারিস, এই সমস্ত বড় বড় শহরে ডেঙ্গুজ্বরে অথবা ম্যালেরিয়ায় অথবা কলেরায় মানুষ মরে সাফ হয়ে যেত।”

“তবে মন্ত্রী বোধহয় আসল কথাটা বলতে চেয়েছেন একটু অন্যভাবে- উন্নয়নের নামে দুর্নীতির বিপুল পরিমাণ টাকা পকেটস্থ হলেই ডেঙ্গুর মতো প্রাণবিনাশী বালা-মুসিবত দেশে বিস্তার লাভ করে। বললে মন্ত্রিত্ব চলে যাবে। তাই উনি ঘুরিয়ে বলেছেন,” বলেন বিএনপি নেতা।

ডেঙ্গুর প্রকোপ থেকে মানুষকে বাঁচাতে সরকারের ব্যর্থতার সমালোচনা করে রিজভী বলেন, “তারা যেটি করছে, সেটি হল লোক দেখানো মশা নিধনের নামে ক্যামেরা শুটিং।

“পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার সরকারের কোনো সক্ষমতা নেই। মশা নিধনে যদি সত্যিকারের কার্যকর ঔষধ আনা হত, তাহলে ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধি পেত না।”

ঈদে বাড়ি যাওয়ার আগে রক্ত পরীক্ষাসহ ডেঙ্গু নিয়ে মন্ত্রীদের নানা কথার সমালোচনা করে রিজভী বলেন, “আমার মনে হয়, আসলে আওয়ামী মন্ত্রীদের মস্তিষ্কের পরীক্ষার দরকার আছে। সাংঘাতিক ধরনের গোলমাল এদের মাথায় বেঁধেছে। এদের রাতের কথার সাথে দিনের কথার, পরশু দিনের কথার সাথে আজকের কথার কোনো মিল নাই।”

বিএসএমএমইউতে চিকিৎসাধীন বন্দি খালেদা জিয়ার ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রণহীন হওয়ায় সার্বিক শারীরিক অবস্থায় উদ্বেগ প্রকাশ করে ঈদের আগেই তার মুক্তির দাবি জানিয়েছেন রিজভী।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন।