মশা মারতে ‘নিষিদ্ধ’ ওষুধ আনার পাঁয়তারা চলছে: ফখরুল

‘দুর্নীতি’ করতে সরকার এবার মশা দমনে ‘নিষিদ্ধ’ কীটনাশক আমদানি করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 August 2019, 12:25 PM
Updated : 4 August 2019, 12:25 PM

রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ড্যাবের এক আলোচনা সভায় এই অভিযোগ তোলেন তিনি।

এবার ডেঙ্গু ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার পর ঢাকা সিটি করপোরেশনের মশা নিধনের ওষুধের অকার্যকারিতার বিষয়টি গবেষণায় উঠে আসে। এখন নতুন ওষুধ সংগ্রহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বিদেশ থেকে নতুন ওষুধ আমদানি প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, “মশার ওষুধ কার্যকর হচ্ছে না। হবে কোত্থেকে? যে  দুর্নীতি তারা করে, তাতে তো কার্যকর হওয়ার কথা না। এখন নতুন ওষুধ আনবে, সেখানে আরও দুর্নীতি হবে।”

গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, “পত্রিকাতে এসেছে আজকে, দুইটা ওষুধ, যেটা একেবারেই নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে থাইল্যান্ডে; সেই দুইটা ওষুধ নাকি আনা হচ্ছে।”

ডেঙ্গুর মধ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বিদেশ সফরের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “এই যে একজন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাহেব, উনি বলেছেন যে কতজন ডেঙ্গুতে মারা গেছেন, তিনি বলতে পারবেন না, এটা তার জানা নেই। যখন ডেঙ্গু চরম আকার ধারণ করেছে তার আগে উনি বললেন, এইডিস মশা নাকি রোহিঙ্গাদের মতো।

“কত বড় অমানবিক হলে, কত বড় অমানুষ হলে এই ধরনের কথা একজন মন্ত্রীর মুখ দিয়ে আমাদের শুনতে হয়। পরবর্তীকালে উনি যখন মালয়েশিয়ায় গেলেন, কেন গেলেন জানি না, পত্র-পত্রিকায় বেরিয়েছে ব্যক্তিগত কাজে গিয়েছেন। ফিরে আসার পরে তিনি বলছেন, তিনি জানেন না কতজন মারা গেছেন। বলছেন, ১৬শ থেকে ১৭শ আক্রান্ত হয়েছে।”

ড্যাবের ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘মুক্ত হোক গণতন্ত্র, নিশ্চিত হোক সুস্বাস্থ্য’ শীর্ষক এই আলোচনা সভায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের হতাশ না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ফখরুল বলেন, “আমরা জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করছি। তারাই একমাত্র এই অবস্থা থেকে দেশ ও রাষ্ট্রকে মুক্তি দিতে পারে। 

“আমি বলব, কেউ হতাশ হবে না, আপনাদের হতাশা পেরিয়ে আশার আলো নিয়েই সামনের দিকে এগুতে হবে।”

ড্যাবের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আমি মনে করি, ড্যাব এখানে বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। এই যে মানুষের সঙ্গে আপনারা মিশে গেছেন, এখন যাচ্ছেন, মানুষের কাছে যান।

“আমাদের খুব বিখ্যাত বিপ্লবী মনীষী মাও সে তুং বার বার এই কথা বলেছেন- হোয়েন দ্য ক্রাইসিস, গো টু দ্য পিপল, লার্ন ফ্রম দেম অ্যান্ড কাম ব্যাক অ্যান্ড ইমপ্লিমেন্ট। এটাই এখন আমাদের মূল কাজ।”

গত ২৫ মে কাউন্সিলরদের ভোটে হারুন আল রশিদ ও আব্দুস সালামের নেতৃত্বে ড্যাবের নতুন কমিটি নির্বাচিত হয়, যারা ৯ জুলাই জাতীয় কাউন্সিলের মাধ্যমে ড্যাবের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।

ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক হারুন আল রশীদের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম মহাসচিব ডা. মেহেদী হাসানের পরিচালনায় এই আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অধ্যাপক সিরাজউদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের কাদের গনি চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের রিয়াজুল ইসলাম রিজু, এগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের শামীমুর রহমান শামীম, ড্যাবের মহাসচিব আব্দুস সালাম, সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সেলিম, কেন্দ্রীয় নেতা ডা. রফিকুল ইসলাম, ডা. কাজী মাজহারুল ইসলাম দোলন, ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, ডা. ওবায়দুল কবির খান, ডা. একেএম ফরিদ উদ্দিন।