বৃহস্পতিবার জাসদ ঘোষিত দেশব্যাপী সুশাসন দিবসের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আয়োজিত মানববন্ধন ও সমাবেশে এ মন্তব্য করেন তিনি।
ইনু বলেন, “দেশে এখন শেয়ার বাজার লুটেরা, ব্যাংক লুটেরা, দলবাজ, দুর্নীতিবাজ, অসৎ রাজনৈতিক নেতা-কর্মী ও সরকারি অফিসারসহ অপরাধীরা নিজেদের ধরা ছোঁয়ার বাইরে ভাবছেন। অতীতে যুদ্ধাপরাধী, বঙ্গবন্ধুর খুনি, জঙ্গিরাও ভেবেছিল, কেউই তাদের স্পর্শ করতে পারবে না। কিন্তু তাদের দম্ভ চূর্ণ হয়েছে, কেউই রেহাই পায়নি।
“যারা ভাবছেন, রাষ্ট্র-সরকার-রাজনৈতিক নেতৃত্ব তাদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে-তাদের জন্য যুদ্ধাপরাধী, বঙ্গবন্ধুর খুনি, জঙ্গিদের মতোই করুন পরিণতি অপেক্ষা করছে।”
জাসদ সভাপতি বলেন, “২০০৯-২০১৮ সাল ছিল রাজনৈতিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা অর্জন এবং উৎপাদন-উন্নয়নের যুদ্ধ পর্ব। ২০১৯ সালে রাজনীতির নতুন পর্ব শুরু হয়েছে, সুশাসনের জন্য যুদ্ধ পর্ব।”
এডিস মশার বিস্তার, ডেঙ্গুর প্রকোপ, অসংখ্য মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়া, ডেঙ্গুতে বেশ কয়েকজন মানুষের মৃত্যু এবং দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যাকবলিত মানুষের দুরবস্থায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন ইনু।
ডেঙ্গু আক্রান্তদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত এবং বন্যাকবলিত মানুষদের জন্য প্রয়োজনীয় ত্রাণ ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান সাবেক মন্ত্রী ইনু।
মানববন্ধন ও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, স্থায়ী কমিটির সদস্য মীর হোসাইন আখতার, সহ-সভাপতি আফরোজা হক রীনা, স্থায়ী কমিটির সদস্য হাবিবুর রহমান শওকত, নুরুল আখতার, নাদের চৌধুরী, সহ-সভাপতি সফি উদ্দিন মোল্লা, শহীদুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান চুন্নু, শওকত রায়হান, নইমুল আহসান জুয়েল, রোকনুজ্জামান রোকন, জাতীয় শ্রমিক জোট-বাংলাদেশের সভাপতি সাইফুজ্জামান বাদশা, ঢাকা মহানগর পশ্চিম জাসদের সভাপতি মাইনুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জাসদের সভাপতি হাজী ইদ্রিস ব্যাপারী, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি আহসান হাবিব শামীম প্রমুখ।