রাজনৈতিক ‘শূন্যতা’ নিরসনে উদ্যোগ নেবে বাংলাদেশ জাসদ

আওয়ামী লীগের একক সরকার পরিচালনায় দেশে ‘রাজনৈতিক শূন্যতা সৃষ্টি হচ্ছে’ মূল্যায়ন করে মহাজোটের অন্যতম শরিক বাংলাদেশ জাসদ বলছে, এই ‘শূন্যতা’ নিরসনে তারা দলীয়ভাবে উদ্যোগ নেবে।

রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- বাংলাদেশ জাসদের জাতীয় কমিটির সভায় চলমান রাজনীতি সম্পর্কে এই মূল্যায়ন করেন দলটির শীর্ষ নেতারা।

দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির বিশ্লেষণ করে গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক ধারা অক্ষুন্ন রাখার স্বার্থে বাংলাদেশ জাসদকে আরও বলিষ্ঠ ও সাহসী ভূমিকা রাখার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয় এই সভায়।

সভার আলোচ্যসূচির বরাত দিয়ে দলটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তী বিষণ্ণ পরিস্থিতিতে দেশে বিচলিত হওয়ার মত এক রাজনৈতিক শূন্যতা ও অচলাবস্থা দৃশ্যমান হয়েছে বলে এ সভা মনে করে।”

এর ব্যাখ্যায় বলা হয়, “১৪ দল তথা মহাজোটের সরকার সংসদ নির্বাচনের পরে আওয়ামী লীগের একক দলীয় সরকারে পরিণত হয়েছে। রাজনৈতিক সরকারের সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক পদ্ধতিতে হবার প্রবণতা ক্রম হ্রাসমান হয়ে এখন তা প্রশাসনের একটি ক্ষুদ্র গোষ্ঠীর মধ্যে সীমিত হয়ে পড়েছে। প্রশাসনের বিশেষ ক্ষুদ্র গোষ্ঠীটি গণতন্ত্রকে বাক্সবন্দী করতে চাইছে, যা সাংবিধানিক ও সংসদীয় পদ্ধতিকে হুমকির মধ্যে ফেলেছে।”

সরকারের বাইরে থাকা বিএনপি সম্পর্কে বলা হয়, “সাম্প্রদায়িকতা, সন্ত্রাস ও অদৃশ্য শক্তি নির্ভর বিএনপি-জামায়াত জোট জনগণের আস্থা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে সৃষ্টি হয়েছে এক আশংকাজনক রাজনৈতিক শূন্যতা ও অচলাবস্থা।

“গণতন্ত্র ও সাংবিধানিক ব্যবস্থার জন্য এ ধরনের রাজনৈতিক শূন্যতা বিপদ সংকেত। বাংলাদেশ জাসদ এ শূন্যতা ও অচলাবস্থা নিরসনে করণীয় নির্ধারণে সব গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল রাজনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক-শ্রেণি-পেশার সংগঠনের সম্মিলিত উদ্যোগ গড়ে তোলার লক্ষে দায়িত্ব পালন করবে। সংগঠনগুলোর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক, বহুপাক্ষিক, আনুষ্ঠানিক, অনানুষ্ঠানিক আলোচনার উদ্যোগ নেবে জাসদ নেতারা,” বলা হয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া।

কার্যকরী সভাপতি মইনউদ্দিন খান বাদল, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, স্থায়ী কমিটির সদস্য ইন্দু নন্দন দত্ত, মুশতাক হোসেন, মঞ্জুর আহমেদ মঞ্জু, নাসিরুল হক নওয়াব ও আনোয়ারুল ইসলাম বাবু সভায় উপস্থিত ছিলেন।