ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন একটি কমিটিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে কেন সদস্য করা হল, তার ব্যাখ্যাও সরকারের দাবি করেছেন এই বিএনপি নেতা।
এ বছর সৌদি আরবে হজ ব্যবস্থাপনা কাজে সার্বিক তত্ত্বাবধান ও দিক নির্দেশনা প্রদানের জন্য ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহর নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে, যেখানে নূরুল হুদা ছাড়াও আরও দুজন প্রতিমন্ত্রী, তিনজন সংসদ সদস্য ও তিনজন সরকারি কর্মকর্তা রয়েছেন।
শুক্রবার বিকালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকের পর এ প্রসঙ্গে কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এভাবে কমিটি করা ‘হাস্যকর’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, “এটা প্রমাণ করে যে, এই সরকার এবং নির্বাচন কমিশন এরা যে সংবিধানকে একেবারে তোয়াক্কা করেই না, সংবিধানের আশপাশ দিয়ে যায় না এবং একইসঙ্গে এই রাষ্ট্রটাকে তারা তাদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি মনে করেন।
এটা ‘ডিসগ্রেসফুল’ মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “চিন্তা করা যায় না তিনি এ রকম কমিটিতে সৌদি আরব যাচ্ছেন। উনি (সিইসি) যদি হজ করতে চাইতেন তাহলে বাদশাহর বিশেষ মেহমান হয়ে যেতে পারতেন। এই যে আপনার আত্মসম্মান বিবর্জিত ব্যক্তিদের আপনার নির্বাচন কমিশনের প্রধান করা হয়। যার ফলে এদেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে তারা কোথায় নিয়ে গেছেন!”
গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই বৈঠক হয়। বৈঠকে সিইসির হজ প্রতিনিধি দলের সদস্য হওয়ার বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
বৈঠকে মহাসচিব ছাড়া খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দিন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন। লন্ডন থেকে স্কাইপে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও যুক্ত ছিলেন।