বুধবার বিকালে রাজধানীর গুলশানের সেন্ট্রাল মসজিদে (আজাদ মসজিদে) জাতীয় পার্টি আয়োজন করে দলের প্রতিষ্ঠাতার কুলখানি।
এতে এরশাদের স্ত্রী ও জাতীয় পার্টির জ্যেষ্ঠ কো চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ, এরশাদের দুই ছেলে শাদ এরশাদ ও এরিক এরশাদের সঙ্গে ছিলেন এরশাদের ভাই ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জি এম কাদের।
আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে ছিলেন তোফায়েল আহমেদ, মোহাম্মদ নাসিম, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক ছাত্র নেতা নুরে আলম সিদ্দিকী, সাবেক প্রতিমন্ত্রী এ বি এম গোলাম মোস্তফা, সাবেক প্রধান হুইপ আ স ম ফিরোজ।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরীর পাশাপাশি কুলখানিতে আসেন জেপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শহিদুল ইসলাম, বিএলডিপির চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন আল আজাদ।
এরশাদের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান কাদের। পাশাপাশি সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের চিকিৎসকদের প্রতিও ধন্যবাদ জানান তিনি।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, “রাজনীতিতে মত ও পথের অমিল ছিল। কিন্তু আমি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে শ্রদ্ধা করতাম। তিনি আমাকে অনেক স্নেহ করতেন। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ একজন বিনয়ী মানুষ ছিলেন। মার্জিত স্বভাবের অধিকারী ছিলেন তিনি।”
সত্তর দশকের ছাত্রনেতা নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, “দেশ ও মানুষের প্রতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মমত্ববোধ অতুলনীয়। একজন সাহিত্যিক হিসেবে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ কোমল হৃদয়ের মানুষ ছিলেন। শিশুদের প্রতি তার ভালোবাসা অসাধারণ।”
নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানে পতিত সাবেক সামরিক শাসক এরশাদ ৯০ বছর বয়সে গত রোববার সকালে মারা যান। তিনি গত ২২ জুন থেকে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। মাইডোলিসপ্লাস্টিক সিনড্রোম নামে রক্তের ক্যান্সারে ভুগছিলেন তিনি। রংপুরে নিজের বাড়িতে মঙ্গলবার তাকে সমাহিত করা হয়।