এরশাদের কুলখানি অনুষ্ঠিত

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কুলখানি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 July 2019, 04:47 PM
Updated : 17 July 2019, 04:47 PM

বুধবার বিকালে রাজধানীর গুলশানের সেন্ট্রাল মসজিদে (আজাদ মসজিদে) জাতীয় পার্টি আয়োজন করে দলের প্রতিষ্ঠাতার কুলখানি।

এতে এরশাদের স্ত্রী ও জাতীয় পার্টির জ্যেষ্ঠ কো চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ, এরশাদের দুই ছেলে শাদ এরশাদ ও এরিক এরশাদের সঙ্গে ছিলেন এরশাদের ভাই ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জি এম কাদের।

আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে ছিলেন তোফায়েল আহমেদ, মোহাম্মদ নাসিম, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক ছাত্র নেতা নুরে আলম সিদ্দিকী, সাবেক প্রতিমন্ত্রী এ বি এম গোলাম মোস্তফা, সাবেক প্রধান হুইপ আ স ম ফিরোজ।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরীর পাশাপাশি কুলখানিতে আসেন জেপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শহিদুল ইসলাম, বিএলডিপির চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন আল আজাদ।

কুলখানিতে জি এম কাদের বলেন, “হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ৪টি জানাজায় তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। লাখো মানুষ তার জানাজায় অংশ নিয়ে প্রমাণ করেছে পল্লীবন্ধুর প্রতি তাদের ভালোবাসা।”

এরশাদের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান কাদের। পাশাপাশি সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের চিকিৎসকদের প্রতিও ধন্যবাদ জানান তিনি।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, “রাজনীতিতে মত ও পথের অমিল ছিল। কিন্তু আমি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে শ্রদ্ধা করতাম। তিনি আমাকে অনেক স্নেহ করতেন। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ একজন বিনয়ী মানুষ ছিলেন। মার্জিত স্বভাবের অধিকারী ছিলেন তিনি।”

সত্তর দশকের ছাত্রনেতা নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, “দেশ ও মানুষের প্রতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মমত্ববোধ অতুলনীয়। একজন সাহিত্যিক হিসেবে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ কোমল হৃদয়ের মানুষ ছিলেন। শিশুদের প্রতি তার ভালোবাসা অসাধারণ।”

জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গাঁর সঙ্গে কুলখানিতে যোগ দেন দলটির নেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ, জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, দেলোয়ার হোসেন খান, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, গোলাম কিবরিয়া টিপু , ফখরুল ইমাম, মুজিবুল হক চুন্নু, এস এম ফয়সল চিশতী, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, আজম খান, এ টি ইউ তাজ রহমান, সোলায়মান আলম শেঠ, আতিকুর রহমান আতিক, খালেদ আখতার, মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, নাসরিন জাহান রতনা, নাজমা আখতার, রওশন আরা মান্নান।

নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানে পতিত সাবেক সামরিক শাসক এরশাদ ৯০ বছর বয়সে গত রোববার সকালে মারা যান। তিনি গত ২২ জুন থেকে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। মাইডোলিসপ্লাস্টিক সিনড্রোম নামে রক্তের ক্যান্সারে ভুগছিলেন তিনি। রংপুরে নিজের বাড়িতে মঙ্গলবার তাকে সমাহিত করা হয়।