বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে স্বপ্ন ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস’ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
‘সরকারি হস্তক্ষেপেই’ খালেদা জিয়ার জামিন হচ্ছে না বলে অভিযোগ করে আসছেন বিএনপি নেতারা। খালেদাকে মুক্ত করতে আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তারা।
সেই প্রসঙ্গ টেনে হানিফ বলেন, “বিএনপি নেতারা আন্দোলন করে তাদের নেত্রীকে (খালেদা জিয়া) মুক্ত করবেন, সেই জন্য তাদের নেতাকর্মীদের আহ্বান জানাচ্ছেন।
“আমরা বারবার বলেছি, খালেদা জিয়া দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে কারাগারে। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির একমাত্র পথ আইনি প্রক্রিয়া। আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাকে মুক্ত করা যেতে পারে।
বিএনপির আন্দোলনের ‘হুমকি’ নিয়ে এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, “আন্দোলন- সংগ্রামের হুমকি আওয়ামী লীগকে দিয়ে লাভ নেই। আওয়ামী লীগের জন্মই হয়েছিল পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আন্দোলন করে। সেই দলের বিরুদ্ধে আন্দোলনের হুমকি হাস্যকর।”
বাংলাদেশের উন্নয়ন, অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দিতে তৎকালীন এক-এগারোতে শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেন মাহাবুব-উল-আলম হানিফ।
তিনি বলেন, “২০০৮ সালে বিপুল ম্যান্ডেট নিয়ে তিনি (শেখ হাসিনা) ক্ষমতায় আসলেন। এই ম্যান্ডেটের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে, জনগণের আস্থা কোথায় ছিল এবং শেখ হাসিানাকে গ্রেপ্তার করা চরম অন্যায় ছিল, ভুল সিদ্ধান্ত ছিল, ষড়যন্ত্রের অংশ ছিল।”
শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার প্রক্রিয়ায় জড়িতদের বিচারের দাবি জানিয়ে হানিফ বলেন, “শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারের সঙ্গে ষড়যন্ত্রকারী ও সংশ্লিষ্টদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। তদন্তের মাধ্যমে এই সব অপরাধীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে।”
সংগঠনের সভাপতি রিয়াজউদ্দিন রিয়াজের সভাপতিত্বে সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য খন্দকার বজলুল হক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব শাবান মাহমুদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী বক্তব্য দেন।