আদালতে ছুরিকাঘাতে হত্যা বিচ্ছিন্ন ঘটনা: হানিফ

কুমিল্লায় আদালতের মধ্যে ছুরিকাঘাতে একজন নিহত হওয়ার ঘটনাকে ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ হিসেবে দেখছেন আওয়ামী লী‌গের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল আলম হানিফ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 July 2019, 06:29 PM
Updated : 16 July 2019, 06:29 PM

মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু এ‌ভি‌নিউ‌য়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ‘গণতন্ত্রের মানস কন্যা বিশ্ব শান্তির অগ্রদূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারান্তরীণ ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার দিবস' উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

হানিফ বলেন, “আজ বিএনপির এক নেতা প্রেস ব্রিফিং করলেন। বললেন, আদালতের মধ্যে একজন ব্যক্তি নিহত হয়েছে কুমিল্লায়, এরপর আর সরকার থাকে না। সরকার পদত্যাগ করেন।

“আমি বলি, এটা হচ্ছে একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। তারা দুইজন মামাত-ফুপাত ভাই, একই মামলার আসামি ছিল। আবেগের বসে একটা দুর্ঘটনা ঘটে গেছে।

“কিন্তু বিএনপি নেতারা আপনার কোন মুখে, কীভাবে সরকারের ব্যর্থতার কথা বলেন? এই ঘটনা নিয়ে কথা বলার আগে আয়নায় নিজের চেহারা দেখেন। অতীতটা দেখার চেষ্টা করেন।”

হানিফ বলেন, “এই বাংলাদেশে আপনারা যখন (বিএনপি) ক্ষমতায় ছিলেন তখন ঝালকাঠিতে আদালতের মধ্যে বোমা হামলা করে ২ বিচারককে হত্যা করা হয়েছিল। গাজীপুরের আদালতে বোমা হামলা করে ১২ জন আইনজীবীকে হত্যা করা হয়েছিল। কোথায় ছিল তখন আপনাদের সরকার?

“সিলেটে হযরত শাহজালালের মাজারে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত আনোয়ার হোসেন চৌধুরীর ওপর হামলা হয়েছিল। একজন বিদেশি রাষ্ট্রদূতকে পর্যন্ত আপনারা নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। আবার খুব বড় বড় গলায় এখন বলেন সরকারের ব্যর্থতার জন্য সরকারের পদত্যাগ করা উচিৎ।

“আপনাদের (বিএনপি) লজ্জা হওয়া উচিৎ। ২০০৮ সালের নির্বাচনে জনগণ আপনাদের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করেছে। আপনাদের শিক্ষা হয়নি। তারপর আপনারা বারবার জনগণের ওপর আঘাত করেছেন। নিজের অপকর্ম আপনারা ধরে রাখতে চেয়েছেন। ক্ষমতায় থাকতে আপনারা লুটপাট-সন্ত্রাসী কাজ করেছেন। ক্ষমতার বাহিরে থেকে দেশের জন্য, জনগণের জন্য কোনো কাজ করেননি। ২০১৩ সালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করার জন্য আপনারা জনগণের ওপর আঘাত করেছেন। আন্দোলনের নামে তাণ্ডব চালিয়েছেন।”

মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ বক্তব্য দেন।