এরশাদের সরকারে ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকা মওদুদ এবং উপ প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকা শাহ মোয়াজ্জেম দুজনই এখন রয়েছেন বিএনপিতে।
ব্যক্তিগতভাবে কিছু না বলে দলের বিবৃতির কথা বলেন তারা। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বিবৃতিতে এরশাদের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন।
১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ বিচারপতি আবদুস সাত্তারকে উৎখাত করে এরশাদ রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের পর বিভিন্ন দল থেকে নেতাদের এনে গঠন করেন জাতীয় পার্টি।
তখন মওদুদ ও শাহ মোয়াজ্জেম ছাড়াও এরশাদের পাশে থাকা ক্ষমতাবানদের মধ্যে ছিলেন মিজানুর রহমান চৌধুরী, কাজী জাফর আহমেদ, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, নাজিউর রহমান মঞ্জুর, এম এ মতিন।
এদের মধ্যে শাহ মোয়াজ্জেম ও মওদুদ ছাড়া বাকি সবাই মারা গেছেন। জাতীয় পার্টির জ্যেষ্ঠ কো চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ কিছুকাল আগে ত্যাগী নেতাদের উদাহরণ দিতে গিয়ে এই দুজনের কথা বলেছিলেন।
রোববার এরশাদ মারা যাওয়ার পর শাহ মোয়াজ্জেমের কাছে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি কিছু বলতে রাজি হননি।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব, মন্ত্রী, সংসদ উপনেতা ও উপ-প্রধানমন্ত্রী ছিলেন শাহ মোয়াজ্জেম। এখন তিনি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদও বলেন, “আমি তো কিছু বলতে চাই না।”
বলা হয়, এরশাদের পতনের আগে তাকে রক্ষার সব চেষ্টাই করেছিলেন মওদুদ।
এখন কিছু বলতে না চাওয়ার কারণে ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “এই এরশাদ সাহেবকে নিয়ে তারা (আওয়ামী লীগ) কি না করেছেন। সমস্ত কিছুই তো আমার জানা আছে।
“সেই এরশাদ সাহেবকে সরকার কোলে বসিয়ে রাজনীতি করেছেন গত ১০ বছর। এখন এইটা সম্পর্কে বলতে গেলে তো আমাকে বর্তমান সরকার সম্পর্কে বলতে হবে। সেজন্য বলতে চাই না এখন।”
রাজনীতির বাইরে এরশাদের বিষয়ে ব্যক্তিগত আবেগ-অনুভূতি-অভিজ্ঞতা নিয়ে কিছু কি বলবেন- এই প্রশ্নে মওদুদ বলেন, “কোনো ব্যক্তিগত অনুভূতির বিষয় এখানে নাই। তার সময়ে দেশের অবস্থা অনেক ভাল ছিল।”