জিয়া হত্যাকাণ্ডে লাভবান খালেদা: হাছান

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডে দলটির কারও সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 July 2019, 10:17 AM
Updated : 13 July 2019, 04:02 PM

শনিবার ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত ‘শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস' উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এই সন্দেহের কথা জানান।

হাছান মাহমুদ বলেন, “জিয়াউর রহমানের মৃত্যু কারণে দেশে দুইবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, আর বিএনপির মতো একটি দলের চেয়ারপারসনের পদ পেয়েছেন। জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের কারণে সবচাইতে বেনিফিসিয়ারি বেগম খালেদা জিয়া।”

জিয়া হত্যারহস্য উদ্ঘাটনের উপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, “জিয়ার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে বিএনপির ঊর্ধ্বতন নেতারা জড়িত কি না, সেটি খুঁজে বের করা দরকার।  জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর আপনারা দুইবার ক্ষমতায় ছিলেন, মামলা করলেন না কেন?  মামলাটা চালালেন না কেন? এই রহস্যটা খুঁজে বের করা দরকার।”

জিয়ার সমালোচনা করে এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, “জিয়াউর রহমান তার  ক্ষমতাকে নিষ্কণ্টক করার জন্য হাজার হাজার সেনা অফিসারকে হত্যা করেছে। ছুটিতে থাকা সেনাবাহিনীর অফিসারকে ধরে এনে ফাঁসি দেয়া হল। সে জানলো না, কী কারণে তাকে ফাঁসি দেওয়া হল। এভাবে বিনাবিচারে শতশত সেনাবাহিনীর অফিসারকে হত্যা করেছে।”

জাতির পিতা হত্যাকাণ্ডেও জিয়ার যোগসাজশের অভিযোগ তুলে হাছান মাহমুদ বলেন, “আমি মনে করি, জিয়াউর রহমান ৭৫ এর ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। 

“একটি কমিশন গঠন করে যারা ১৫ অগাস্ট হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত, তাদের বিচার করা প্রয়োজন। তাহলে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হবে “

জিয়ার ছেলে তারেক রহমানকে নিয়ে তথ্যমন্ত্রী   বলেন, “বিএনপি একজন নেতা খুঁজে পেলেন না, তাই তারা একুশে অগাস্ট গ্রেনেড হামলার মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি এবং দুর্নীতি মামলার আসামি তারেক রহমানকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করলেন। 

“তিনি সাত সমুদ্র তের নদীর পাড়ে বসে নানা কথা বলেন। রাজনীতি করতে হলে সাহস থাকতে হয়। রাজনীতি করলে হলে বুলেটের সামনে দাঁড়াতে হয়। যে রাজনীতিবিদ দলের নেতৃত্ব দিতে পারে না, সে রাজনীতিবিদ সঠিক রাজনীতিবিদ নয়।”

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী  শামসুল হক টুকু, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ।