পাশাপাশি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের যেসব মন্ত্রী-এমপি সমর্থন দিয়েছেন তাদেরও কেন বহিষ্কার করা হবে না, তা জানতে চেয়ে নোটিশ পাঠানো হবে।
শুক্রবার গণভবনে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে দলটির উপদেষ্টা পরিষদ ও কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়েছে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক জানিয়েছেন।
বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো তুলে ধরে জাহাঙ্গীর কবির নানক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, উপজেলা নির্বাচনে দলীয় পদে থেকে যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছে তাদে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হবে এবং কেন তাদের দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না- তা জানতে চেয়ে শোকজ নোটিশ পাঠানো হবে।
“এছাড়া যে সকল এমপি-মন্ত্রীরা প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ ইন্ধন ও মদদ দিয়েছেন তাদেরকেও কেন সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হবে না তা জানতে চেয়ে শোকজ করা হবে।”
তিনি বলেন, “উপজেলা আওয়ামী লীগের পদে থেকে যারা বিদ্রোহী হিসেবে নির্বাচন করেছে, তারা তাদের পদের যোগ্যতা হারিয়েছে- এটা ওয়ার্কিং কমিটির মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত।”
সভায় উপস্থিত আরেকজন নেতা বলেছেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা, উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য, মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও জেলা-উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক যারাই বিদ্রোহী পক্ষে ছিলেন তাদের সবাইকেই ‘বহিষ্কারের আওতায় আনা হবে’।