কোন্দল নিয়ে হুঁশিয়ার করলেন শেখ হাসিনা

দলের মধ্যে কোন্দল-দ্বন্দ্বে জড়িত মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের হুঁশিয়ার করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।

সংসদ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 July 2019, 06:06 PM
Updated : 11 July 2019, 06:06 PM

বৃহস্পতিবার রাতে সংসদ ভবনে সরকারি দলের সভাকক্ষে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভায় তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন।

বৈঠকে থাকা কয়েকজন সংসদ সদস্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের ওই সংসদ সদস্যরা বলেছেন, নির্বাচনী এলাকা ও সংসদে শৃঙ্খলা বজায় রাখতেও বলেছেন শেখ হাসিনা।

তাদের বক্তব্য অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, উপজেলাসহ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে যেসব সংসদ সদস্য নৌকার প্রার্থীর বিরোধিতা করেছেন, তারা আগামীতে দলের মনোনয়ন পাবেন না।

“যারা নৌকা মার্কা নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন, কিন্তু নিজ এলাকায় এখন নৌকার বিরোধিতা করছেন- এটা তো আমাকে দেখতেই হবে। আগামীতে তারা দলের মনোনয়ন পাবেন না।”

তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে শুক্রবার দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

বৈঠকে দলের মধ্যে কোন কোন্দল-দ্বন্দ্বে জড়িত না হওয়ার জন্য সংসদ সদস্যদের নির্দেশ দিয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, কোনোভাবেই কোন্দল বা দ্বন্দ্বে জড়িত হবেন না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সাবেক এক মন্ত্রীর নাম উল্লেখ না করে নেত্রী বলেছেন, যে যত বড় নেতাই হোন না কেন, দলের বিরোধিতা কিংবা শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে কাউকেই ছাড়া হবে না। অবশ্যই সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

আরেক সংসদ সদস্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকা এবং সংসদে পরিপূর্ণ শৃঙ্খলা রক্ষার তাগিদ দিয়ে বলেন, যার যার এলাকায় যান, দলীয় কর্মকাণ্ডে মনোযোগী হন, নেতা-কর্মীসহ জনগণের পাশে থাকুন।”

শেখ হাসিনা প্রত্যেক জেলা-উপজেলায় দলের নিজস্ব কার্যালয় স্থাপনের তাগিদ দেন বলেও জানান ওই সংসদ সদস্য। তা তদারকির জন্য বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকদের নির্দেশনাও দেন তিনি।

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, “বাজেট বাস্তবায়নকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে। তাই নিজ নিজ এলাকায় গিয়ে গৃহীত উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ যেন দ্রুত সম্পন্ন হয় সেদিকে নজর রাখবেন। মনে রাখবেন, দেশের জনগণ আমাদের ওপর পূর্ণ আস্থা-বিশ্বাস রেখে ভোট দিয়েছে। জনগণের সেই ভোটের মর্যাদা আমাদের রক্ষা করতে হবে।”

 বৈঠকে সংরক্ষিত আসনের কয়েকজন সংসদ সদস্য তাদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর দাবিও জানান।