পুলিশের ভয়ে ঘরে বসে থাকলে নেত্রীর মুক্তি আসবে না বলেও নেতাদের সজাগ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের এই উপদেষ্টা।
খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি এবং গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে বক্তব্য দেন জয়নুল আবদিন ফারুক।
তিনি বলেন, “জনগণ বলতে শুরু করেছে, কিছু কর্মসূচি দেন নেতারা। এখনও আন্দোলনে রাস্তায় নামার সাহস আমাদের সবারই আছে। আমাদের কৌশল নিতে হবে, রাস্তায় নামতে হবে, আন্দোলন করতে হবে। মানুষ আমাদের সাথে আছে।
“আমি জানি আন্দোলনের কর্মসূচি দিলে হয়তবা যাদের দ্বারা ৩০ তারিখের ভোট ২৯ তারিখে শেষ হয়েছে, যাদের জন্য রাস্তায় দাঁড়ানো যায় না, সেই পুলিশকে ভয় পেয়ে যদি আমরা ঘরে বসে থাকি তাহলে দেশনেত্রীর মুক্তি অসম্ভবপর হবে।”
দলের নেতাদের কাছে কর্মসূচি দাবি করে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, “আমার সংগ্রামী মহাসচিব বলেছেন, সাহস হারানো যাবে না, ধৈর্য ধরতে হবে। কত দিন আমরা ধৈর্য ধরব? তৃণমূল প্রস্তুত জনাব মহাসচিব মহোদয়। আমরা ৫৭০ জনের দ্বারা কমিটি (কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি), তারা আসি না।
“গ্যাসের দাম, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি, গুম-হত্যা-শিশু ধর্ষণের প্রতিবাদ জানাতে জনগণ আপনাদের (নেতাদের) কাছে কর্মসূচি চায়। নেতাদের বলব, আমাদেরকে কর্মসূচি দেন।”
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশে সাবেক বিরোধী দলীয় প্রধান হুইপ জয়নুল আবদিন বলেন, “বেগম খালেদা জিয়া ১৮ মাসের উপরে কারাগারে আছে। কী কারণে এত ভয়? তারেক সাহেবকে কেন এত ভয়? তাকে (তারেক রহমান) দেশে আসতে দেন, রাজনীতি করতে দেন। যদি কোনো অন্যায় করে আইন আছে।
“তারেক রহমানকে নির্বাসিত করে তার বিরুদ্ধে কথা বলবেন সেটা তো রাজনৈতিক কোনো কর্মকাণ্ড না। এত প্রাচীন একটি রাজনৈতিক দলের মুখে শোভা পায় না।”
আওয়ামী লীগ নেতাদের কথা বলায় সংযত হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন জয়নুল আবদিন ফারুক।
তিনি বলেন, “ক্ষমতাসীনদের বলছি, আপনারা পদত্যাগ করেন না করেন। আমার মনে পড়ে, নব্বইতে এরশাদও পদত্যাগের কয়েক ঘণ্টা আগে কোথায় ব্রিজ উদ্বোধন করতে গিয়ে হাসতে হাসতে বলেছিলেন, কিসের পদত্যাগ? সেই এরশাদেরও পতন হয়েছে। অবশ্য সে এখন মৃত্যুশয্যায়, আল্লাহ তাকে হায়াত দারাজ করুক।
“আমরা অনেক দেখেছি, অহঙ্কার পতনের মূল লক্ষণ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দয়া করে আপনার নেতাদের মুখ সংযত করতে বলেন।”
‘অপরাজেয় বাংলাদেশ’ নামের সংগঠনের উদ্যোগে এই মানববন্ধন হয়। ভিপি ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য অধ্যাপক সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, সহ-শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ফরিদা মনি শহীদুল্লাহসহ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।