রাজীবপুর থানার এসআই সিদ্দিকুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল বুধবার দুপুরে ওই বাড়ি পরিদর্শন করেন। এই ঘটনাকে ‘দুর্ধর্ষ চুরি’ বলছেন পুলিশ কর্মকর্তা সিদ্দিকুর।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ঘরের আসবাবের বিভিন্ন ড্রয়ারে রাখা কাগজপত্র এলোমেলো অবস্থায় পাওয়া গেছে।
“তবে কী কী চুরি হয়েছে তা নির্দিষ্ট করে বলতে পারেননি ইমরান এইচ সরকারের বাবা মতিউর রহমান।”
ইমরানের বাবা মতিউর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বাড়িতে তারা স্বামী-স্ত্রী ছাড়া কেউ থাকেন না। গত রাতে মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে, তারা দুজন ঘুমিয়ে ছিলেন।
“বৃষ্টি হওয়ায় কোনো শব্দ টের পাইনি। সকালে উঠে দেখি ইমরানের রুমসহ পাঁচটি রুম খোলা। চোরেরা ঘরের বিভিন্ন কাগজপত্র এলোমেলো করেছে। ইমরানের সার্টিফিকেটগুলো খুঁজে পাচ্ছি না। জমির দলিল ছিল, সেগুলোও নেই। কয়েকটি নতুন কাপড় ও গয়না ছিল, সেগুলোও নেই। এসব স্বর্ণালঙ্কার ও কাপড় চোপড়ের মূল্য প্রায় আড়াই লাখ টাকা।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজীবপুর থানার ওসি রবিউল ইসলাম বলেন, “এ বিষয়ে এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। অনেকে এটিকে ডাকাতি বলে গুজব ছড়ালেও প্রকৃতপক্ষে এটি চুরি ছাড়া কিছুই না।
“বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে গড়ে ওঠা শাহবাগ আন্দোলনের মুখপাত্র হিসেবে দেশব্যাপী পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন রংপুর মেডিকেলের সাবেক ছাত্র ইমরান এইচ সরকার। গত জাতীয় নির্বাচনে কুড়িগ্রামে নিজের এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান তিনি।