এছাড়া ওইদিন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশের কর্মসূচিও রেখেছে জোট।
গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে রোববার সারাদেশে আধাবেলা হরতাল পালনের পর নতুন এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। বাম জোটের হরতালে বিএনপিও সমর্থন দিয়েছিল।
হরতাল শেষে পল্টন মোড়ে এক সমাবেশে জোটের সমন্বয়ক ও ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু বলেন, “দেশের মানুষের অতিপ্রয়োজনীয় হল গ্যাস, এই গ্যাসের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সব পণ্যের দাম বাড়বে, কারখানার উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে, এর প্রভাব পড়বে সাধারণ জনগণের ওপর।
“আমরা সরকারকে এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান জানাই। সরকার যদি আমাদের এই আহ্বান না মেনে নেয় তাহলে আগামী ১৪ জুলাই সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ এবং একই দিনে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় ঘেরাও করা হবে।”
এরপরও সরকার বাম জোটের দাবি মেনে না নিলে ১৯ জুলাই বাম দলগুলো প্রতিনিধি সম্মেলন করে পরবর্তিতে লাগাতার কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানান তিনি।
“এরপরও সরকার গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত থেকে সরে না এলে কর্মসূচির মাধ্যমে সারাদেশ অচল করে দেওয়া হবে।”
সমাবেশে সিপিবির সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম, বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলণের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাফি রতন, যুগ্ন সম্পাদক সাজ্জাদ জহির চন্দন প্রমুখ বক্তব্য দেন।
সকাল ৬টা থেকে হরতালের মধ্যে রাজধানীর পল্টন, প্রেসক্লাব, শাহবাগ এলাকায় থেমে থেমে বৃষ্টির মধ্যেই মিছিল করছেন সিপিবি, বাসদ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলনসহ জোটভুক্ত বাম সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা।
প্রগতিশীল ছাত্র জোটের কর্মীরা শাহবাগ এলাকায় সড়বে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করায় ওই মোড় হয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে।
তবে রাজধানীর অন্যান্য এলাকায় যানবাহন চলেছে স্বাভাবিকভাবে। হরতালে বিশৃঙ্খলা এড়াতে বিভিন্ন মোড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের অবস্থান নিয়ে থাকতে দেখা গেছে।