রোববার রাতে বিদিশা তার ফেইসবুক পেইজে লিখেছেন, “তিনি (এরশাদ) এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আছেন। অথচ তাকে নিয়ে চলছে রাজনীতি, কেউ বা চায় তার পদ দখল করতে, কেউ বা তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি।”
৯০ বছর বয়সী সাবেক স্বৈরশাসক এরশাদ বেশ কয়েক মাস ধরে রক্তে সংক্রমণ ছাড়াও লিভার জটিলতায় ভুগছেন। গত ২২ জুন সিএমএইচে ভর্তি করা হয় তাকে।
এরপর রোববার সন্ধ্যায় বনানীতে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কাদের বলেন, শনিবার পর্যন্ত এরশাদের অবস্থার উন্নতি হচ্ছিল। রোববার সকালে তার অবস্থা খারাপ হয়।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে হঠাৎ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন তার রক্তে হিমোগ্লোবিন ঘাটতির কথা জানান চিকিৎসকরা। পরে সিঙ্গাপুরে গিয়ে চিকিৎসা করিয়ে আসেন এরশাদ। তাতেও পুরোপুরি সেরে উঠেননি তিনি।
এরই মধ্যে ট্রাস্ট গঠন করে তাতে তার সব স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি দান করেছেন এরশাদ।
স্ট্যাটাস নিয়ে জানতে চাইলে সোমবার সকালে বিদিশা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,“আমি খুব বিক্ষিপ্ত অবস্থায় আছি। এখন বলতে পারব না কিছু। যা ঘটেছে, আমি সংবাদ সম্মেলন করে বলব।”
বিদিশা ফেইসুবকে আরও লেখেন, “স্ত্রী দেখতে পারছে না তার স্বামীকে সন্তান দেখতে পাচ্ছ না তার পিতাকে, এরকম এক নির্মমতার মধ্যে দিয়ে অতিবাহিত করতে হচ্ছে আমার দিনগুলো। সবসময়ই বুকের ভেতরটা কেঁপে উঠছে এই বুঝি কোনো দুঃসংবাদ শুনি, আর কারো কথা বলছি না আমি সাবেক রাষ্ট্রপতি হোসেন মোহাম্মদ এরশাদ সাহেবের কথা বলছি।
“কি নির্দয় এ সমাজের মানুষগুলো? যাদের জন্য জীবনে এত কিছু করে গেলেন তিনি, তারাই আজ তার মৃত্যু কামনা করছেন। বাবার মৃত্যু ক্ষণে ছেলেকে সুকৌশলে দূরে রাখা হচ্ছে, কেউ কেউ তাকে নিয়ে নতুন স্বপ্ন দেখাও শুরু করেছেন।”
“আমি অতো সাত, পাঁচ বুঝিনা,আর এগুলো বুঝতে চাইও না, আমি চাই আমার ছেলেটা সুন্দরভাবে বেড়ে উঠুক, বাবার স্বপ্ন পূরণে সেও এক সময় দেশ ও জাতির জন্য কাজ করবে, কিন্তু আমার ভয় হচ্ছে আমার ছেলেকে নিয়ে, ও যেন আমার মত কোনো ষড়যন্ত্রের শিকার না হয়”
এরিককে ষড়যন্ত্রের হাত থেকে বাঁচাতে জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীদের এগিয়ে আসার আহবানও জানিয়েছেন বিদিশা।