ঘোষিত তফসিলে আগামী ১৫ জুলাই ছাত্রদলের কাউন্সিলের দিন রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচনে আগ্রহী প্রার্থীদের মধ্যে ফরম বিতরণ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বিক্ষোভের কারণে ফরম বিক্রি শুরু করা যায়নি।
বৃহস্পতিবার বেলা ১টার দিকে কাকরাইলের স্কাউট ভবনের দিক থেকে বিক্ষুব্ধরা লাঠি, ক্রিকেটের স্ট্যাম্পসহ মিছিল নিয়ে পল্টনের কার্যালয়ের প্রধান ফটকে অবস্থান নেন।
বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা ‘অবৈধ তফসিল মানি না, মানব না,’ সিন্ডিকেটের আস্তানা ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’, ‘কথায় কথায় বহিষ্কার, দল কি তোদের বাপ-দাদার’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
বিএনপি কার্যালয়ে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ছাড়াও আমানউল্লাহ আামান, খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, আকরামুল হাসানসহ দুই শতাধিক নেতাকর্মী অবস্থান করছিলেন। বিকাল পৌনে চারটার দিকে বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসকে কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকতে দেখা গেছে।
ভেঙে দেওয়া কমিটির যুগ্ম সহ-সাধারণ সম্পাদক সদ্য বহিষ্কৃত নেতা দবির উদ্দিন তুষার সাংবাদিকদের বলেন, “আমাদের প্রিয় সংগঠন ছাত্রদল। আমাদের জীবন-যৌবন এই সংগঠনের মধ্যে চলে গেছে। আজকে একটি সিন্ডিকেট এই সংগঠনকে ভেঙে দিতে চায়।
বহিষ্কৃত আরেক নেতা সাবেক কমিটির সহ-সভাপতি ইকতিয়ার কবির বলেন, “আমরা এ সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধান চাই। বিএনপির সিনিয়র নেতাদের সাথে আমাদের আলোচনা হচ্ছে। আশা করছি এর একটা সমাধান আসবে, যে তফসিল ঘোষণা দিয়েছে তা বাতিল করে আমাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে আলোচনায় নেতৃবৃন্দ বসবেন।”
গত ৩ জুন বিএনপি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ছাত্রদলের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি ভেঙে দিয়ে কাউন্সিলে প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে ২০০০ সালের পরের এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার শর্ত আরোপ করা হয়।
বয়সসীমা উঠিয়ে দেওয়ার দাবিতে ১০ জুন থেকে বিক্ষোভ করে আসছেন ছাত্রদল নেতাকর্মীদের একাংশ। পরদিন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিনভর বিক্ষোভ করেন তারা।
গত শনিবার তাদের ১২ নেতাকে সংগঠনের শৃঙ্খলাবিরোধী কার্য্ক্রমের অভিযোগ বহিষ্কারের পরদিন নির্বাচন পরিচালনা কমিটি তফসিল ঘোষণা করে। এরপর গত মঙ্গলবার বিএনপি কার্যালয়ে ছাত্রদলের দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনাও ঘটে।