ছাত্রলীগের বিক্ষুব্ধদের মুখে কালো কাপড়

এক মাস অবস্থান নিয়েও ছাত্রলীগ সভাপতি কিংবা সাধারণ সম্পাদকের সাড়া না মেলায় তাদের প্রতি ‘ঘৃণা’ জানাতে মুখে কালো কাপড় বেঁধে প্রতিবাদ জানিয়েছে সংগঠনটির বিক্ষুব্ধ নেতারা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 June 2019, 11:30 AM
Updated : 25 June 2019, 11:30 AM

কমিটি থেকে বিতর্কিতদের সরানোর দাবিতে গত ২৬ মে থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে অবস্থানকারী এই নেতারা মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী মুখে কালো কাপড় বেঁধে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

বিক্ষুব্ধদের মধ্যে অন্যতম নেতা বিগত কমিটির কর্মসূচি ও পরিকল্পনা সম্পাদক রাকিব হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ছাত্রলীগের কমিটি থেকে বিতর্কিতদের বাদ দেওয়ার দাবিতে আমরা দীর্ঘ এক মাস যাবৎ রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান করছি। কিন্তু এরপরও ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বিষয়টি নিয়ে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

“তারা বিভিন্ন সময় ছাত্রলীগের বর্তমান পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে বিতর্কিত আছে স্বীকার করেই তাদের বাদ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত সেই দিকে তাদের কোনো নজর নেই। তাই লজ্জা, ঘৃণা আর ক্ষোভ থেকেই আজকে আমরা মুখে কালো কাপড় লাগিয়ে রাজু ভাস্কর্যের সামনে দাঁড়িয়েছি।”

বিগত কমিটির সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক রানা হামিদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নেত্রী (শেখ হাসিনা) ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদককে কমিটি বিতর্কিতমুক্ত করার জন্য বারবার নির্দেশ দেওয়ার পরও কার জন্য তারা এখনও এই বিষয়ে পদক্ষেপ নিচ্ছে না, সেটা আমরা বুঝতে পারছি না।”

সম্মেলনের এক বছর পর গত ১৩ মে ছাত্রলীগের ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হলে তা পুনর্গঠনের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন এতে স্থান না পাওয়া কিংবা প্রত্যাশিত পদ না পাওয়া নেতারা।

তারা অভিযোগ করেন, বিবাহিত, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী, চাকরিজীবী ও বিভিন্ন মামলার আসামিসহ নানা অভিযোগবিদ্ধ অনেককে পদ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে বঞ্চিত করা হয়েছে অনেক ত্যাগী নেতাকে।

এনিয়ে বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে মারামারিও বাঁধে কমিটিতে পদ পাওয়া নেতাদের। এরপর কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার এক পর্যায়ে আশ্বাসে পিছু হটে বিক্ষুব্ধরা।

বিক্ষুব্ধদের আন্দোলনের মুখে গত ২৯ মে ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বিতর্কিত কয়েকজনকে বাদ দিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির ১৯টি পদ শূন্য ঘোষণা করেন।

কিন্তু এরপর পূর্ণাঙ্গ কমিটিকে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেওয়ার কর্মসূচি ঘোষণা হলে ২৬ মে ফের অবস্থানে ফেরে বিক্ষুব্ধরা; এখনও সেখানেই কর্মসূচিতে রয়েছেন তারা। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্মারকলিপিও দিয়েছেন তারা।