সোমবার রাতে ২০ দলের এক বৈঠকের পর জোটের সমন্বয়ক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের একথা জানান।
তিনি বলেন, “২০ দলীয় জোটের নেত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশে কারাগারে আবদ্ধ করে রাখার নিন্দা ও তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে জোট দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনের প্রধান নেত্রী বেগম জিয়ার দ্রুত মুক্তির লক্ষ্যে আগামী জুলাই মাসে ঢাকাসহ বিভিন্ন মহানগরে কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। আগামী সভায় নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
সংসদে বিএনপির যোগ দেওয়া নিয়ে টানাপড়েন এবং বিজেপির জোট ছাড়ার পর ২০ দলের এই কর্মসূচি নেওয়া হল। নাম ২০ দল থাকলেও ১৯টি দলের জোটে রূপ নেওয়া জোটটির এই বৈঠকে জামায়াতে ইসলামীর কোনো প্রতিনিধিও ছিল না।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নজরুল বলেন, “২০ দলীয় জোট বিরাট শক্তি। এ জোটে ঐক্য সুদৃঢ় আছে, এখানে কোনো সংকট নাই।”
গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ইসলামী ঐক্যজোটের এম এ রকীব, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) জাফরুল্লাহ খান চৌধুরী লাহরী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের একাংশের মাওলানা নুর হোসাইন কাসেমী, অন্য অংশের মাওলানা মহিউদ্দিন ইকরাম, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ন্যাপ-ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, জাগপার খন্দকার লুৎফুর রহমান, এলডিপির সাহাদাত হোসেন সেলিম, কল্যাণ পার্টির এম এম আমিনুর রহমান, মুসলিম লীগের জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, পিপলস লীগের সৈয়দ মাহবুব হোসেন, ডিএলের সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, সাম্যবাদী দলের নুরুল ইসলাম, ন্যাপের সাওন সাদেকী, এনডিপির আবু তাহের বৈঠকে অংশ নেন।