স্মারকলিপি দেওয়ার পরও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
আন্দোলনকারীদের অন্যতম নেতা রাকিব হোসেন বুধবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “যতক্ষণ পর্যন্ত না আমাদের দাবি আদায় হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত অবস্থান চলবে। দাবি আদায় হলে আমরা আমাদের কর্মসূচি স্থগিত করব।”
মঙ্গলবার রাতে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে গিয়ে দলের উপ দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়ার কাছে স্মারকলিপিটি জমা দেওয়া হয় বলে জানান ছাত্রলীগের বিগত কমিটির কর্মসূচি ও পরিকল্পনা সম্পাদক রাকিব।
তিনি বলেন, “তিনি (বিপ্লব) আমাদের কথা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের স্মারকলিপি পৌঁছে দেবেন এবং আমাদের দাবির বিষয়গুলো নেত্রীকে অবহিত করবেন।”
স্মারকলিপি দিতে রাকিব ছাড়াও গিয়েছিলেন ছাত্রলীগের সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন সোহাগ, সাবেক সদস্য তানভীর হাসান সৈকত, সাবেক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের উপ প্রচার সম্পাদক শেখ আব্দুল্লাহ, শেখ নকিবুল ইসলাম সুমন, সাবেক প্রচার সম্পাদক সাইফ বাবু।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে রাজু ভাষ্কর্যে অবস্থানরত ছাত্রলীগের বিক্ষুব্ধরা সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে তারা ৪ দফা দাবিতে শেখ হাসিনাকে স্মারকলিপি দেবেন বলে জানিয়েছিলেন।
তারা শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ চেয়েছেন। এছাড়া তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে, শূন্য ঘোষিত ১৯টি পদের বাইরেও যারা ‘বিতর্কিত’ রয়েছেন, তাদের নাম পদবিসহ প্রকাশ, বিক্ষুব্ধদের মধ্য থেকে যোগ্যতার ভিত্তিতে বিতর্কিতদের জায়গায় পদায়ন এবং বিক্ষুব্ধদের উপর হামলার বিচার।
শেখ হাসিনা তাদের দাবি পূরণে কার্যকর পদক্ষেপ নেবেন বলে প্রত্যাশা করছেন তারা।
সম্মেলনের এক বছর পর গত ১৩ মে ছাত্রলীগের ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হলে তা পুনর্গঠনের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন এতে স্থান না পাওয়া কিংবা প্রত্যাশিত পদ না পাওয়া নেতারা।
তারা অভিযোগ করেন, বিবাহিত, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী, চাকরিজীবী ও বিভিন্ন মামলার আসামিসহ নানা অভিযোগবিদ্ধ অনেককে পদ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে বঞ্চিত করা হয়েছে অনেক ত্যাগী নেতাকে।
এনিয়ে বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে মারামারিও বাঁধে কমিটিতে পদ পাওয়া নেতাদের। এরপর কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার এক পর্যায়ে আশ্বাসে পিছু হটে বিক্ষুব্ধরা।
বিক্ষুব্ধদের আন্দোলনের মুখে গত ২৯ মে ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বিতর্কিত কয়েকজনকে বাদ দিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির ১৯টি পদ শূন্য ঘোষণা করেন।
কিন্তু এরপর পূর্ণাঙ্গ কমিটিকে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেওয়ার কর্মসূচি ঘোষণা হলে ২৬ মে ফের অবস্থানে ফেরে বিক্ষুব্ধরা; এখনও সেখানেই কর্মসূচিতে রয়েছেন তারা।