দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সামনে রেখে সোমবার ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার বর্ধিত সভায় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন মন্তব্য আসে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ‘প্রতিষ্ঠিত’ হয়ে গেছে; আর এটা শুধু বাংলাদেশে নয়, ‘সারা পৃথিবীতে’।
“শেখ হাসিনা নিজেই তার যোগ্যাতা দিয়ে, দক্ষতা দিয়ে নিজেকে অতিক্রম করেছে। শেখ হাসিনা তার ব্যক্তিত্ব দিয়ে, গৌরব দিয়ে, তার সাহস দিয়ে, তার বিচক্ষণতা দিয়ে প্রমাণ করেছেন- ‘শি ইজ লারজার দ্যান আওয়ামী লীগ’।”
নেতাকর্মীদের সামনে রেখে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “আমাদের পার্টি শেখ হাসিনার সমকক্ষ হতে পারেনি। কেন, কী দুর্বলতার কারণে? সেগুলো চিহ্নিত করতে হবে। দলের স্বার্থে কাজ করুন, দলের ত্যাগী কর্মীদের মূল্যায়ন করুন।
তিনি বলেন, “সবাই যে কোনো পরিস্থিতিতে ঐক্যবদ্ধ থাকুন। এ দেশে হলি আর্টিজান ঘটেছে। হলি আর্টিজানের পরে এই ঢাকা শহরের অবস্থা কি ছিল? অনেক দিন মনে হয়েছিল, যেন মরা একটা ভুতুড়ে শহর।
“শ্রীলংকায় যা ঘটেছে, বাংলাদেশে তা ঘটবে না- এমনটা মনে করার কোনো কারণ নেই। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, সংগঠন শক্তিশালী করতে হবে।”
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “ঐক্য আমাদের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। এ হাতিয়ারই আমাদেরে যে কোনো আঘাত, আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে পারে।”
কমিটি গঠনে কর্মীদের মূল্যায়ন করার আহ্বান জানিয়ে মহানগর আওয়ামী লীগ নেতাদের তিনি বলেন, “আমি আপনাদের একটা কথা বলব, ফাঁকি দেবেন না। জোড়া-তালি দিয়ে আওয়ামী লীগ করবেন না। দুঃসময়ের ত্যাগী কর্মীদের অবহেলা করে আওয়ামী লীগ টিকবে না। কোনো স্বার্থের বশে আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন করবেন না।
“পকেট কমিটি কারও কাজে আসবে না। সুবিধাভোগীদের পার্টি আওয়ামী লীগ নয়, এটা মনে রাখতে হবে। দলের যখন আবার দুঃসময় আসবে, তখন দেখবেন সুবিধাভোগীরা, বসন্তের কোকিলরা… হাজার পাওয়ারের বাতি জ্বলিয়েও এদের খোঁজে পাওয়া যাবে না। এটা আমাদের সবাইকে মনে রাখতে হবে, যদি আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে চান।”
মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাভাপতি আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাইদ খোকন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য মির্জা আজম, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ বর্ধিত সভায় বক্তব্য দেন।