বগুড়া উপনির্বাচন: ইভিএমে ভোটের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার চায় বিএনপি 

বগুড়া-৬ আসনের উপ-নির্বাচনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট নেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বিএনপি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 June 2019, 10:26 AM
Updated : 17 June 2019, 11:20 AM

নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সোমবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, “যেহেতু বগুড়া-৬ আসনে ধানের শীষের ভোট বেশি সেহেতু প্রতিটি কেন্দ্রেই পরিকল্পিভাবে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকারের আজ্ঞাবাহী নির্বাচন কমিশন।

“ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ না থাকলেও এই প্রক্রিয়ায় আরও বেশি জালিয়াতি করা সম্ভব। এর আগেও (একাদশ নির্বাচন) ভোটের বদলে প্র্রিজাইডিং অফিসার ইভিএমে ভোট চুরি করেছে। অবিলম্বে এই ইভিএম প্রত্যাহারের জোর দাবি জানাচ্ছি।”

একাদশ নির্বাচনে বিজয়ী বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ না নেওয়ায় বগুড়ার এই আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়।

আগামী ২৪ জুন বগুড়া-৬ আসনের উপ-নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে। এই আসনের সবগুলো কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট হবে।

আওয়ামী লীগের টি জামান নিকেতা, বিএনপির জিএম সিরাজসহ কয়েকজন উপ-নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

বিএনপিসহ বিভিন্ন দল ইভিএমের বিরোধিতা করে আসছে অনেকদিন ধরেই। গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় একাদশ জাতীয় নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ছয়টি আসনে ইভিএমে ভোট নেওয়া হয়। সে সময় ভোটাররা ইভিএমে সন্তুষ্টির কথা জানালেও কয়েকটি কেন্দ্রে মেশিনে গড়বড়ের কারণে কিছুটা সমস্যাও হয়েছিল। পরে সিইসি নূরুল হুদা ইভিএমের ভুলত্রুটিকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলেছিলেন।

রিজভী বলেন, অতীতে দেখা গেছে যে,ইভিএম জটিলতার জন্য ভোটাররা ভোট দিতে এসে লাইনে দিনভর দাঁড়িয়ে থেকে ভোট দিতে না পেরে ফিরে গেছে। ইভিএমের কোনো পেপার ট্রেইল না থাকায় ভোট দেওয়া-না দেওয়ার প্রমাণ থাকে না।বাংলাদেশে ইভিএম পদ্ধতি ব্যবহারের মূল উদ্দেশ্য হল ইভিএম মেশিন দ্বারা  ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে দূরবর্তী স্থানে থেকেও ভোট ডাকাতি করা সম্ভব।”

দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি হাসান মামুনকে গ্রেপ্তার, তার বিরুদ্ধে ‘বানোয়াট’ মামলা দায়ের এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শফিউদ্দিন সেন্টুকে গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়ে তাদের মুক্তির দাবি জানান রিজভী।

ঈদের পর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন রিজভী। নয়া পল্টনের কার্যালয়ে থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। অসুস্থতা থেকে ফিরে সোমবারই প্রথম সংবাদ সম্মেলনে আসেন তিনি। 

সংবাদ সম্মেলনে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা এবিএম মোশাররফ হোসেন, আবদুস সালাম আজাদ, মাহবুবুল হক নান্নু, হায়দার আলী লেলিন, গোলাম মাওলা শাহিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।