রোববার ‘সংবাদপত্রের কালো দিবস’র এক আলোচনা সভায় বক্তব্যে এই দাবি করেন তিনি।
আমীর থসরু বলেন, ‘‘ সেদিন (১৯৭৫ সাল) তারা (আওয়ামী লীগ) গণমাধ্যমের কণ্ঠ রোধ করে একদলীয় শাসন প্রবর্তন করেছিল। আজকে ১৬ জুন, প্রায় ৪৫ বছর পরে তাদের উপর সেই ভূত আবার চেপেছে।
“সেদিন তারা গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করেছিল একটা আইনের মাধ্যমে। আজকে তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় কিছু গণমাধ্যম সৃষ্টি করা হয়েছে, আর যারা নিরপেক্ষ স্বাধীন তাদের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে রাষ্ট্রীয় কিছু সংস্থাকে ব্যবহার করে। ওই লাইন একটা দেওয়া আছে, ওই লাইন অতিক্রম করলেই গণমাধ্যমের উপর বাধা চলে আসে, তারা বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়ে।”
তিনি বলেন, ‘‘আপনি দেখবেন, সংবাদ যাতে গুরুত্ব না পায় সেজন্য দেখবেন অনেক গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানে ছাঁটাই চলছে, অনেককে বিদায় করে দেওয়া হয়েছে এবং অনেককে বিদায় করার পাঁয়তারা চলছে।”
আমীর খসরু বলেন, এখন সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে কিছু লিখতে পারছেন না, ফলে অনেকে এই পেশা ছেড়ে দিচ্ছেন।
“হুকুম তামিল করা ছাড়া কোনো কিছু করার থাকে না। তার জন্য অনেকে কিন্তু সংবাদকর্মী হিসেবে কাজ করতে চাচ্ছে না। অনেকে কিন্তু চাকরি ছেড়ে দিচ্ছে, অনেকে গণমাধ্যম থেকে সরে যাচ্ছে।”
প্রস্তাবিত বাজেটের সমালোচনা করে সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু বলেন, “এই বাজেট একটি গোষ্ঠির স্বার্থ রক্ষায় করা হয়েছে। এই গোষ্ঠি হচ্ছে, যারা সংসদ সদস্য হয়েছেন তারা আছে, একই গোষ্ঠি ব্যাংকের মালিকানার মধ্যেও আছে, একই গোষ্ঠি শেয়ার বাজার দখল করে বসে আছে, একই গোষ্ঠি সরকারে বসে আছে।”
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ লেবার পার্টির উদ্যোগে এই আলোচনা সভায় লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান ছাড়াও বক্তব্য রাখেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমাতুল্লাহ, এনডিপির চেয়ারম্যান আবু তাহের, শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের মহাসচিব জাকির হোসেন, লেবার পার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ফারুক রহমান, কেন্দ্রীয় নেতা এসএম ইউসুফ আলী।