বাজেটে ব্যাংক ‘লুট’ বন্ধে পদক্ষেপ নেই: বাংলাদেশ জাসদ

প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যাংক ‘লুট’ বন্ধে ‘বাস্তব পদক্ষেপ’ না দেখে হতাশা প্রকাশ করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জোটসঙ্গী দল বাংলাদেশ জাসদ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 June 2019, 12:32 PM
Updated : 15 June 2019, 12:32 PM

বাজেট বাস্তবায়নের সক্ষমতা বৃদ্ধিরও কোনো পদক্ষেপ ‘নেই’ বলে শনিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন দলটির সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া ও সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান।

বিবৃতিতে বলা হয়, ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের আকার গত কয়েক বছরের মতো ক্রমবর্ধমান এবং বিদায়ী বছরের সংশোধিত বাজেটে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হবার করুণ ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি মাত্র।

“লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হবার পাশাপাশি বিদেশি ও আভ্যন্তরীণ ঋণ নিয়ে ঘাটতি পূরণের লজ্জা ঢাকতে দিয়ে পরের বছর আরও বড় আকারের বাজেট পেশ করা হয়েছে। কিন্তু সাথে সাথে আরো বড় আকারের ঘাটতি এবং আরও বড় দেশি-বিদেশি ঋণের ফাঁদে দেশ আটকে যাচ্ছে।”

বাজেট বাস্তবায়নের সক্ষমতা বাড়ানো, প্রত্যক্ষ আয়কর বাড়ানো, কর ফাঁকি রোধ, কালো টাকা উদ্ধার ও ব্যাংক কেলেঙ্কারি প্রতিরোধের কোনো বাস্তব প্রাতিষ্ঠানিক কর্মকৌশল এ বাজেটে নেই বলে বিবৃতিতে বলা হয়।

“বাজেটে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার বাড়ার পরিসংখ্যান দেখিয়ে আত্মতুষ্টি আছে, কিন্তু এ প্রবৃদ্ধি যে বেকারদের কাজ সৃষ্টি করছে না, উৎপাদশীল খাতে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে না, বিভিন্ন ধরনের বৈষম্য বাড়িয়েই চলেছে, তার জন্য উদ্বেগটুকুও নেই, সমাধানের পদক্ষেপ তো দূরের কথা।”

বাংলাদেশ জাসদের বিবৃতিতে বলা হয়, অর্থনৈতিক প্রবাহ অব্যাহত রাখার কথা বলে বড় বড় ঋণখেলাপি ও কালো টাকার মালিকদের এক চোখা সুবিধা বাড়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।

“নতুন বাজেটে খাদ্য নিরাপত্তা জোগানো প্রান্তিক কৃষকের জন্য সুনির্দিষ্ট সুবিধা নেই, কৃষকের পণ্যের মূল্য সুরক্ষার ব্যবস্থা নেই, শিল্প অর্থনীতির নিরাপত্তা জোগানদার শ্রমিকের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার কোনো নতুন পদক্ষেপ নেই।”

জাসদ নেতারা বলেন, হতদরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষ, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা বলয় ও আকার কিছুটা হলেও বাড়ানো হয়েছে, কিন্তু দেশের উন্নয়ন পরিসংখ্যানের সাথে সঙ্গতি রেখে প্রান্তিক মানুষদের জন্য এ পদক্ষেপ ‘পর্বতের মূষিক প্রসবের মতোই’।

বিবৃতিতে বলা হয়, “গতবারের তুলনায় এ বছর শিক্ষা খাতে বাজেট বেড়েছে সত্য, কিন্তু সর্বজনীন মানসম্মত শিক্ষার জন্য এখনো তা খুবই অপ্রতুল। আর স্বাস্থ্য খাত বরাবরের মতই বঞ্চিত, এ বঞ্চনা দিয়ে ২০৩০ সালের মধ্যে কিভাবে সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা বাস্তবায়িত হবে তা দেশবাসীর বোধগম্য নয়।”