সাবেক মৎস্য ও পশু সম্পদমন্ত্রী নোমান ‘অসুস্থতার’ কারণে সময়ের আবেদন করায় বুধবার ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ সৈয়দ কামাল হোসেন আগামী ৩০ জুন রায়ের নতুন তারিখ রাখেন।
আদালতের পেশকার রফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ২৫ এপ্রিল মামলাটিতে রায় ঘোষণার দিন ছিল। কিন্তু ওইদিন রায় প্রস্তুত না হওয়ায় ১২ জুন তারিখ নির্ধারণ করেছিলেন একই বিচারক।
মামলার নথিপত্র থেকে জানা যায়, ১৯৯৭ সালের ৭ অগাস্ট সম্পদের হিসাব বিবরণী চেয়ে আবদুল্লাহ আল নোমানকে নোটিস দেয় বিলুপ্ত দুর্নীতি দমন ব্যুরো।
নোটিস পাওয়ার পর আইনুযায়ী ৪৫ দিনের মধ্যে সম্পদের হিসাব দাখিল করার কথা থাকলেও তিনি তা করেননি। এমনকি তিনি সময় বাড়ানোর জন্যও আবেদন করেননি।
পরে ১৯৯৮ সালের ১৯ অগাস্ট নোমানের বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন ব্যুরোর কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল জাহিদ।
এই মামলায় ২০০৯ সালে নোমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হলে তা বাতিল চেয়ে তিনি হাই কোর্টে আবেদন করেন। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি হাই কোর্টের একটি বেঞ্চ রুল জারির পাশাপাশি মামলার কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ দেয়। পরে চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে ২০১৩ সালের ২৪ জানুয়ারি হাই কোর্ট রুল খারিজ করে রায় দেয়।
এর বিরুদ্ধে নোমান আবেদন করলে হাই কোর্টের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করে চেম্বার বিচারপতি বিষয়টি নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন।
এর ধারাবাহিকতায় লিভ টু আপিল করেন নোমান। সেটিও ২০১৬ সালের ২৫ জানুয়ারি খারিজ করে দেয় আপিল বিভাগ।
এই মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন সাতজন।