ছাত্রদলের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি ভেঙে দেওয়ায় বিক্ষুব্ধরা মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিএনপি কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয়। বিদ্যুৎ সংযোগও বন্ধ করে দেয় তারা।
এরপর বিকালে বিএনপি নেতাদের উদ্যোগে বিক্ষুব্ধদের গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে নেওয়া হয়। সেখানে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে স্কাইপে কথা বলেন তারা।
এরপর রাত সাড়ে ৯টায় গুলশানের কার্যালয় থেকে বেরিয়ে আসেন বিক্ষুব্ধ নেতারা। এরপর তারা নয়া পল্টনের কার্যালয়ের তালা খুলে দেন।
বিক্ষোভে থাকা মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, “আমরা আমাদের অবস্থান কর্মসূচি একদিনের জন্য স্থগিত করেছি। আশা করি, এর মধ্যে আমাদের দাবিসমূহ বিবেচনায় নেবে দল।”
বিক্ষোভ চলার মধ্যে তারেক রহমান প্রথমে স্কাইপে কথা বলেন ছাত্রদলের সাবেক নেতা শামসুজ্জামান দুদু, আমানউল্লাহ আমান, আসাদুজ্জামান রিপন, ফজলুল হক মিলন, শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, এবিএম মোশাররফ হোসেন, শফিউল বারী বাবু, আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, হাবিবুর রশীদ হাবিবের সঙ্গে।
পরে তিনি বিক্ষুব্ধ ছাত্রদল নেতাদের ডেকে পাঠান।
কার্যালয়ে তালা দেওয়ার কারণে ভবনের ভেতরে আটকা পড়েছিলেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি অসুস্থ বলে তাকে স্যালাইন দেওয়া হচ্ছিল দুদিন ধরে।
তালা খুলে দেওয়ার পর তৃতীয় তলায় উঠে ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রিজভীকে দূর থেকে দেখে আসেন বিক্ষুব্থধ নেতাদের কয়েকজন।
গত ৩ জুন রিজভীর স্বাক্ষরে আসা বিজ্ঞপ্তিতেই ছাত্রদলের কমিটি ভেঙে দেওয়ার কথা জানানো হয়েছিল।
দিনভর বিক্ষোভের সময় ছাত্রদলের নেতারা রিজভীকে নিয়ে বিদ্রুপাত্মক স্লোগানও দেন।