৯০ বছর বয়সী এরশাদ বলেছেন, “এক জীবনে অনেক মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি, গণমানুষের ভালোবাসায় আমার জীবন ধন্য।”
ঈদের দিন বুধবার সকালে বনানীতে নিজের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলীয় নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন বিরোধীদলীয় নেতা এরশাদ।
প্রায় দশককাল দেশ শাসনের পর নব্বইয়ের গণআন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত এরশাদ অসুস্থতার কারণে ইদানিং রাজনৈতিক কর্মসূচিতে খুব একটা আসেন না।
গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচনের পরে নিজের কার্যালয়েও আর যাননি তিনি। দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম তিনি বারিধারার পার্ক রোডের বাসা থেকেই নিয়ন্ত্রণ করেন।
কয়েক মাস পর দলের চেয়ারম্যানকে পেয়ে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা ছিল উচ্ছ্বসিত। ফুলেল শুভেচ্ছা জানানোর পর তার সঙ্গে সেলফি তুলতেও ব্যস্ত হয়ে পড়েন তারা। এসময় নেতাকর্মীদের মাথায় হাত বুলিয়ে দেন এরশাদ।
এরশাদ বলেন, “ঈদের এই আনন্দঘন ও উৎসবমুখর পরিবেশ দেশের প্রতিটি মানুষের জীবনে বারবার ফিরে আসুক। আগামীর বাংলাদেশ আরও উন্নত ও সমৃদ্ধ হোক।”
শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেন, “আমরা একটি সুন্দর ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি। পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের আদর্শে আমরা স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলব।”
এসময় জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, গোলাম কিবরিয়া টিপু, ফখরুল ইমাম, শেখ সিরাজুল ইসলাম, আব্দুস সাত্তার মিয়া, আলমগীর সিকদার লোটন, নুরুল আজহার, আবু বক্কর, নুরুল ইসলাম নুরু, মোস্তাকুর রহমান মোস্তাক, জহিরুল আলম রুবেল, শফিউল্লাহ শফি, মনিরুল ইসলাম মিলন, সুলতান আহমেদ সেলিম।
এরশাদের স্ত্রী ও দলের জ্যেষ্ঠ কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদকে এই অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি।