খোঁজ নিচ্ছে না কেউ- খেদ ছাত্রলীগের বিক্ষুব্ধদের

বিতর্কিতদের হটাতে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে গেলেও ছাত্রলীগের সাবেক কিংবা বর্তমান কোনো নেতা খবর না নেওয়ায় খেদ প্রকাশ করেছেন সংগঠনটির কমিটি নিয়ে বিক্ষুব্ধরা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 June 2019, 05:23 AM
Updated : 1 June 2019, 05:23 AM

গত ২৭ মে সকালে ছাত্রলীগের নতুন কমিটির সদস্যদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানোর কর্মসূচি সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী নেওয়ার পর ২৬ মে রাতেই বিক্ষুব্ধ অংশটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান কর্মসূচি পালন শুরু করে।

রোদ-বৃষ্টির মধ্যেও তারা এই কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। দাবি মানা না হলে ঈদ এবং ঈদ পেরিয়েও অবস্থান ধরে রাখার ঘোষণা রয়েছে তাদের।

রাজু ভাষ্কর্যে অবস্থানরত ছাত্রলীগের বিগত কমিটির কর্মসূচি ও পরিকল্পনা সম্পাদক রাকিব হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এত দিন ধরে প্রচণ্ড গরম, বৃষ্টি, কষ্ট উপেক্ষা করে আমরা টানা অবস্থান ধরে রাখলেও এখনও পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কোনো নেতা বা বর্তমান ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক আমাদের কোনো খোঁজ-খবর নেননি। একটি বারের জন্য হলেও তারা আমাদের সাথে যোগাযোগ করেননি।”

তবে প্রধানমন্ত্রী দেশের বাইরে অবস্থান করায় আপাতত নতুন কোনো কর্মসূচিতে যাচ্ছেন না বলে জানান তিনি।

সম্মেলনের এক বছর পর গত ১৩ মে ছাত্রলীগের ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হলে তা পুনর্গঠনের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন পদ না পাওয়া কিংবা প্রত্যাশিত পদ না পাওয়া নেতারা।

তারা অভিযোগ করেন, বিবাহিত, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী, চাকরিজীবী ও বিভিন্ন মামলার আসামিসহ নানা অভিযোগবিদ্ধ অনেককে পদ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে বঞ্চিত করা হয়েছে অনেক ত্যাগী নেতাকে।

এনিয়ে বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে মারামারিও বাঁধে কমিটিতে পদ পাওয়া নেতাদের। এরপর কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার কে পর্যায়ে আশ্বাসে পিছু হটে বিক্ষুব্ধরা।

বিক্ষুব্ধদের আন্দোলনের মুখে গত ২৯ মে ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বিতর্কিত কয়েকজনকে বাদ দিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির ১৯টি পদ শূন্য ঘোষণা করেন।

কিন্তু এরপর পূর্ণাঙ্গ কমিটিকে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেওয়ার কর্মসূচি ঘোষণা হলে ফের অবস্থানে ফেরে বিক্ষুব্ধরা; তাদের দাবি, আগে বিতর্কিত সবাইকে সরাতে হবে, তারপরই যেন কর্মসূচি নেওয়া হয়।

অবস্থান কর্মসূচিতে থাকা ছাত্রলীগের বিগত কমিটির মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণা বিষয়ক উপ-সম্পাদক আল মামুন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের আন্দোলনের মুখে ছাত্রলীগ সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক ১৯টি পদ শূন্য ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছে। তার মানে আমরা আমাদের জায়গায় সঠিক ছিলাম। যদিও এই সংখ্যা আরও বেশি।”

তিনি ছাত্রলীগের ১৯টি শূন্য পদে নতুন নাম ঘোষণা করার দাবি জানিয়ে বলেন, “এই ১৯ জনের নাম ঘোষণা না করে একদিকে যেমন পুরো ৩০১ জনকে বিতর্কিত করছে। অন্যদিকে এই ৩০১ জনকেই বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করছে।”