কেরানীগঞ্জের কারাগারে যাওয়া ঠেকাতে খালেদার পদক্ষেপ

কেরানীগঞ্জের কারাগারে আদালত বসানোর পদক্ষেপ বাতিল করতে সরকারকে আইনি নোটিস পাঠানো হয়েছে খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 May 2019, 02:16 PM
Updated : 21 May 2019, 02:16 PM

এনিয়ে উচ্চ আদালতেও যাবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও খালেদার আইনজীবী মওদুদ আহমদ।

বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে মামলাগুলোর বিচার চালিয়ে যেতে ঢাকার কেরানীগঞ্জের কারাগারে আদালত বসাতে সম্প্রতি সরকারি প্রজ্ঞাপন হয়।

বর্তমানে বিএসএমএমইউতে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন সুস্থ হলে তাকে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়ার সিদ্ধান্তও ইতোমধ্যে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

দুর্নীতির মামলায় এক বছর আগে দণ্ডের পর পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন সড়কের পরিত্যক্ত কারাগারে খালেদাকে রেখে তার বিরুদ্ধে অন্য কয়েকটি মামলার বিচারও সেখানেই চলছিল।

সেই মামলাগুলোর বিচার এখন ঢাকা শহরের বাইরে কেরানীগঞ্জের কারাগারে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তের পর থেকে তার বিরোধিতা করছে বিএনপি।

বিএসএমএমইউতে খালেদা জিয়া (ফাইল ছবি)

তার ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার রেজিস্ট্রি ডাকযোগে খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী কায়সার কামাল আইন সচিব বরাবর নোটিসটি পাঠান।

কায়সার কামাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘গত ১২ মে আইন মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। ওই প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মামলা শুনানির জন্য পুরাতন ঢাকার সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে (বিশেষ জজ আদালত-৯) স্থানান্তর করে কেরানীগঞ্জে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই প্রজ্ঞাপনটি খালেদা জিয়া ও আইনজীবী হিসেবে আমরা বেআইনি বলে মনে করি।”

সংবিধানের ৩৫ অনুচ্ছেদ উদ্বৃত করে এ আইনজীবী বলেন, “এ অনুচ্ছেদে স্পষ্ট উল্লেখ আছে, যে কোনো বিচার হতে হবে উন্মুক্তভাবে। কারাগারের একটি কক্ষে উন্মুক্তভাবে বিচার হতে পারে না। ফলে এই প্রজ্ঞাপন সংবিধানবিরোধী। ফৌজদারী কার্যবিধির কোথাও উল্লেখ নাই কারাগারে আদালত স্থাপিত হতে পারে।

“সে জন্য সরকারকে ২৪ ঘণ্টার সময় দিয়েছি। এই সময়ের মধ্যে গত ১২ মে জারি করা এ সংক্রান্ত গেজেটটি প্রত্যাহার বা বাতিল না করলে করলে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

এর আগে নাজিমউদ্দিন সড়কের কারাগারেও আদালত বসানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেছিল বিএনপি; কিন্তু তাতে ফল পায়নি।

মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকায় এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে মওদুদ জানান, কেরানীগঞ্জ কারাগারে বিশেষ আদালত স্থাপনের বৈধতা চ্যলেঞ্জ করে শিগগিরই উচ্চ আদালতে যাবেন তারা।

তিনি বলেন, “এই আদালত স্থাপন করা সংবিধান পরিপন্থি। আমরা মনে করি, সংবিধানে যে মৌলিক অধিকার একজন নাগরিককে দেওয়া হয়েছে সেই অধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে।

“আমরা খুব শিগগিরই সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করব। আমরা এটা করতেই থাকব। কারণ আমাদের অন্য কোনো উপায় নাই। আমরা লড়ে যাব। আদালতেও লড়ব, রাজপথেও লড়ব।”