কমিটি নিয়ে মারামারি: ৫ জনকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার

পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের পর মধুর ক্যান্টিনে মারামারির ঘটনায় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে পাঁচজনকে বহিষ্কার করেছে ছাত্রলীগ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 May 2019, 04:14 PM
Updated : 20 May 2019, 05:16 PM

এদের একজনকে স্থায়ীভাবে এবং চারজনকে সাময়িকভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানানো হয় সোমবার ছাত্রলীগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।

স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া হলের কর্মী সালমান সাদিককে।

সাময়িক বহিষ্কৃতরা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী মুরসালিন অনু, জিয়া হল ছাত্রলীগের সদস্য কাজী সিয়াম, জিয়া হল ছাত্রলীগের কর্মী সাজ্জাদুল কবীর এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য জারিন দিয়া।

এছাড়া কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়েছে দুজনকে; শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তিন দিনের মধ্যে তাদের তা জানাতে বলা হয়েছে।

এরা হলেন রোকেয়া হল ছাত্রলীগের সভাপতি বি এম লিপি আক্তার, জিয়া হল ছাত্রলীগের পরিকল্পনা ও কর্মসূচি বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান শান্ত।

গত ১৩ মে মধুর ক্যান্টিনে সংঘটিত ঘটনার তদন্তের ভিত্তিতে শাস্তিমূলক এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “মধুর ক্যান্টিনে সংগঠিত অনাকাঙ্ক্ষিত ও অপ্রীতিকর ঘটনা তদন্তের নিমিত্তে গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পর্যালোচনা করে, তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।”

রাতে আহতদের দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে বিক্ষুব্ধদের তোপের মুখে পড়েন ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী

কাউন্সিলের এক বছর পর ওই দিনই ছাত্রলীগের ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল। তা প্রত্যাখ্যান করে সেদিনই বিক্ষুব্ধরা সংবাদ সম্মেলন করতে গেলে তাদের উপর হামলা হয়, বাঁধে মারামারি।

কমিটিতে বিবাহিতসহ নানা দোষে দুষ্টরা রয়েছে- বিক্ষুব্ধদের এই দাবি খতিয়ে দেখে বিতর্কিতদের পদ থেকে সরানোর আশ্বাস দেওয়ার পাশাপাশি বিক্ষুব্ধদের কর্মসূচি থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়ে আসছিল সংগঠটির শীর্ষ নেতৃত্ব।

কিন্তু তা উপেক্ষা করে বিক্ষুব্ধরা কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার মধ্যে সোমবার শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার এই ঘোষণা এল। এর মধ্যে দিয়া, লিপি নতুন কমিটি প্রত্যাখ্যানকারীদের দলে সক্রিয়।

এর প্রতিক্রিয়ায় বিগত কমিটির সমাজসেবা সম্পাদক রানা হামিদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “যারা এই হামলার সাথে সরাসরি জড়িত ছিল এবং যাদের বিরুদ্ধে আমরা অভিযোগ করেছি, তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। উল্টো আমাদের সরাসরি ভিক্টিম জারিন দিয়াকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি প্রহসন করেছে।

“তারা (শীর্ষ নেতৃত্ব) আমাদেরকে যে প্রতিশ্রুতিগুলো দিয়েছে, এটা নিয়েও আমরা এখন শঙ্কিত, তা আদৌ বাস্তবায়ন হবে কি না?”