দুদকের করা ওই মামলার কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে হাই কোর্টে আবেদন করেছিলেন মওদুদ। হাই কোর্ট তা সরাসরি খারজি করে দিলে সে অদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেছিলেন তিনি।
তার সেই আপিলের আবেদন মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চে শুনানির জন্য উঠলে তা সরাসরি খারিজ হয়ে যায়।
মওদুদ আহমদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী রোকনউদ্দিন মাহমুদ। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
আদেশের পর খুরশীদ আলম খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মওদুদ আহমদের লিভ টু আপিল খারিজ হয়ে গেছে। ফলে বিচারিক আদালতে যথারীতি এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ চলবে।”
মওদুদের আইনজীবীর আবেদনের প্রেক্ষিতে সর্বোচ্চ আদালত আরেকটি আদেশ দিয়েছে। হাই কোর্টে মওদুদের বিরুদ্ধে ট্যাক্স সংক্রান্ত যত মামলা আছে, সেগুলোর নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে।
জরুরি অবস্থার সময় ২০০৭ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক শরিফুল হক সিদ্দিকী গুলশান থানায় মওদুদের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। পরের বছর ১৪ মে আদালতে অভিযোগপত্র দেন দুদকের উপ-পরিচালক শরিফুল হক সিদ্দিকী।
সেখানে বলা হয়, ২০০৭ সালের ২৩ জুলাই দুর্নীতি দমন কমিশনে জমা দেওয়া সম্পদের হিসাব বিবরণীতে মোট ৪ কোটি ৪০ লাখ ৩৭ হাজার ৩৭৫ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেন বিগত চার দলীয় জোট সরকারের মন্ত্রী মওদুদ। এছাড়া তার নামে ৭ কোটি ৩৮ হাজার ২৩৭ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়, যা তার ঘোষিত আয়ের তথ্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
আদালতের স্থগিতাদেশে দীর্ঘ এক দশক আটকে থাকার পর গত বছর ২১ জুন এ মামলায় মওদুদ আহমদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
এ অভিযোগ গঠন চ্যালেঞ্জ করে এবং আদালত পরিবর্তন চেয়ে এর আগেও কয়েকবার হাই কোর্টে এসেছিলেন মওদুদ। প্রতিবারই তার আবেদন খারিজ হয়েছে।
সর্বশেষ গত ৪ মার্চ অর্থ ও কর সংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বিচারিক আদালতে আবেদন করেন। বিচারকি আদালত তা নাকচ করলে ৩১ মার্চ তিনি হাই কোর্টে আবেদন করেন।
হাই কোর্ট গত ৮ এপ্রিল মওদুদের অবেদনটি সরাসরি খারিজ করে দেয়। পরে তিনি হাই কোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করেন।
কিন্তু চেম্বার আদালত তাতে সাড়া না দিয়ে আবেদনটি আপিলের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেয়, যা খারিজ করল আপিল বিভাগ।