আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলছেন, ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকই এই সমস্যার সমাধান করতে পারবেন।
সোমবার ছাত্রলীগের ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণার পর পদবঞ্চিত ও পদ নিয়ে অসন্তুষ্ট নেতাকর্মীরা মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করতে গেলে তাদের ওপর হামলা হয়। এতে নারীকর্মীসহ অন্তত ১৫ জন আহত হন।
মঙ্গলবার দুপুরে মধুর ক্যান্টিনেই সংবাদ সম্মেলন করে ছাত্রলীগের কমিটি পুনর্গঠনের জন্য ৪৮ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়েছেন ক্ষুব্ধ নেতারা। দাবি পূরণ না হলে একযোগে পদত্যাগের হুমকি দিয়েছেন তারা।
এই সময়ই ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনগুলোর নেতাদের সঙ্গে যৌথ সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে আসেন মাহাবুব-উল আলম হানিফ।
“কারণ পদের সংখ্যা একটি নির্দিষ্ট জায়গায় থেমে যায়। স্বাভাবিকভাবেই কমিটি হওয়ার পরে সকলে যখন কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হয় না তখন কিছু ব্যক্তির মধ্যে অষন্তোষ সৃষ্টি হয়। এটা হওয়াটাই স্বাভাবিক। প্রায় সব জায়গায় এমন একটা পরিস্থিতি দেখা যায়।”
“আর যেহেতু ছাত্রসমাজ তরুণ। তাদের মধ্যে হয়ত ক্ষোভটা কোনো কোনো সময় একটু বেশি আকারে দেখা যায়। এছাড়াও ছাত্রলীগের অনেকে ভেবেছিলেন বড় পদ পাবেন, সেটা হয়ত পাননি। তারা হয়ত অপেক্ষাকৃত ছোট পদ পেয়েছেন। এই ধরনের দুই একজনের ক্ষোভ থাকতে পারে।”
মধুর ক্যান্টিনের মারামারির ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এটা অত্যন্ত সামান্য ঘটনা। এটা নিয়ে আমার মনে হয় যে, খুব বেশি উদ্বেগ প্রকাশ করার কিছু নেই। আমরা আশা করি, সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, তারা এটা ঠিক করতে পারবেন এবং তারা সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের সংগঠনের কাজ করবেন।”
তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগের আগামী জাতীয় সম্মেলন আশা করছি যথাসময়ে অক্টোবরেই আমাদের কাউন্সিল সম্পন্ন হবে।আমাদের সংগঠনকে তৃণমূল পর্যন্ত ঢেলে সাজিয়ে জাতীয় কাউন্সিল করতে পারব।
“পাশাপাশি আমাদের যে সকল সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন আছে, যেসব সংগঠনের মেয়াদ শেষ হয়ে এসেছে বা মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে তাদেরকেও কেন্দ্রীয় কাউন্সিল করার জন্য আমাদের সভা থেকে নির্দেশনা দিয়েছি। তারাও তৃণমূল পর্যন্ত তাদের সংগঠনকে ঢেলে সাজিয়ে নির্ধারিত সময়ের মাঝে কাউন্সিল সম্পন্ন করতে পারবে।”
সারা দেশের নেতাকর্মীদের তথ্য নিয়ে ডিজিটাল ডাটাবেজ তৈরি করতে ঈদের পর দেশের সব পর্যায়ের কমিটির দপ্তর সম্পাদকদের নিয়ে ঢাকায় একটি কর্মশালা হবে বলে জানান হানিফ।
“সেখানে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থাকবেন।”
এছাড়া ১৭ মে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ‘স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’ উপলক্ষে আলোচনা সভাসহ মাসব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হবে বলে বলে জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর, কৃষি সম্পাদক ফরিদুরনাহার লাইলী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, উপ দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কার্যনির্বাহী সদস্য আখতারুজ্জামান, মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাফিয়া খাতুন, সাধাররণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম কৃক, যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আকতার, সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।