হরতাল-অবরোধে সহিংসতা ও সন্ত্রাসের সঙ্গে বিএনপির সংশ্লিষ্টতার কারণে দুই বছর আগে দলটির এক কর্মীর রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন কানাডার আদালতে খারিজ হয়ে যায়।
ওই সময় সেই রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছিল, বিএনপি সন্ত্রাসে ছিল, আছে বা ভবিষ্যতেও থাকতে পারে- এমন ধারণা করার যৌক্তিক কারণ আছে।
সেই প্রসঙ্গ টেনে বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে হাছান মাহমুদ বলেন, “বিএনপিকে কানাডার আদালতও সন্ত্রাসী দল হিসেবে রায় দিয়েছে। তারা ক্রমাগত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছে।”
বিএনপিনেত্রী খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “দুর্নীতির মামলায় তাদের শীর্ষ এক নেতা দণ্ড নিয়ে কারাগারে, অপর নেতা দণ্ড নিয়ে বিদেশে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
“যুদ্ধের ময়দান থেকে কয়েক হাজার মাইল দূরে বসে যুদ্ধক্ষেত্রের নির্দেশনা দিচ্ছে তারেক রহমান। ময়দানে যুদ্ধরতরা এই নির্দেশনা সঠিক নয় বলছে। আসলে যারা প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য জঙ্গিদের সহযোগিতা নিয়ে গ্রেনেড হামলা করে, তারা রাজনৈতিক দল হতে পারে না। এটা সন্ত্রাসী দল।”
তিনি বলেন, “সন্ত্রাসী দলের তকমা মুছতে হলে বিএনপির এই শীর্ষ নেতৃত্বে পরিবর্তন আনতে হবে। আপনারা নেতৃত্বে পরিবর্তন এনে সন্ত্রাসী দলের তকমা মুছতে পারেন।”
বিএনপি জোট থেকে বিরেজপির বেরিয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, “যাদের মধ্যে কোনো চেতনা নেই, আদর্শ নেই সেই দল বেশি দিন টিকতে পারে না। তারা ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করে, দীর্ঘ দিন ধরে ক্ষমতায় না থাকায় দলের নেতাকর্মীরা হতাশ হয়ে দল ছাড়তে শুরু করেছে। তাদের বিশ দলীয় জোট থেকে ইতিমধ্যেই কয়েকটি দল পালাতে শুরু করেছে।
“বিএনপির হতাশ নেতাকর্মীরাও দল ছাড়তে শুরু করেছে। দলের জন্মটা ভালো না হলেও অনেকে মনে করেছিল ভালো নেতৃত্বের মাধ্যমে ভালো কিছু পাওয়া যাবে।”
অগ্নিকন্য প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের ১০৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সামসুল হক টুকু, আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম পোদ্দার।