রোববার ঘোষিত গণফোরামের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটিতে মোকাব্বিরকে সভাপতিমণ্ডলীরও সদস্য করা হয়েছে।
তবে তার আগে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিয়ে বহিষ্কার হওয়া সুলতান মো. মনসুর আহমেদের দলে ফেরার বিষয়ে কোনো অগ্রগতি হয়নি।
এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে গণফোরামের নতুন সাধারণ সম্পাদক রেজা কিবরিয়া বলেছেন, “উনি যদি আবার দলে ফেরত আসতে চান, উনি আবেদন করতে পারেন, কথা বলতে পারেন- এটা উনার ব্যাপার।”
একাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিএনপি যখন অন্যান্য দল নিয়ে জোট গঠন করছিল, সে সময় কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন গণফোরামে যোগ দিয়েছিলেন সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা সুলতান মনসুর, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ ও রেজা কিবরিয়া।
তারা তিনজনই গণফোরাম থেকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা ও শেখ হাসিনার ১৯৯৬-২০০১ সালের সরকারের অর্থমন্ত্রী প্রয়াত শাহ এ এম এস কিবরিয়ার ছেলে রেজা ও অধ্যাপক সাইয়িদ ভোটে হারলেও উতরে যান সুলতান মনসুর।
গত ৩০ ডিসেম্বরের ওই নির্বাচনে ভরাডুবির পর বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যানের পাশাপাশি সংসদে না যাওয়ার ঘোষণা দেয়।
তবে সেই সিদ্ধান্ত অমান্য করে গত ৭ মার্চ সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেওয়ায় সুলতান মনসুরকে দল থেকে বহিষ্কার করে গণফোরাম। তার পথ ধরে ২ এপ্রিল মোকাব্বির খান শপথ নিলে তাকেও কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।
তবে গত ২৯ এপ্রিল বিএনপির চারজন সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে সুর বদল হতে শুরু করে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সেদিন বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশেই দলের চার নেতা শপথ নিয়েছেন।
আর রোববার এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, সংসদে না যাওয়ার তাদের ওই সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল না বলেই এখন তার মনে হচ্ছে।
সেখানে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে কেন্দ্রীয় কমিটিতে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পাওয়া রেজা কিবরিয়া বলেন, “আমাদের দেশে বড় সংকট হচ্ছে গণতান্ত্রিক অধিকার নেই, আমাদের ভোটের অধিকার নাই। পাঁচজন সংসদে গেছেন এটা অতো গুরুত্বপূর্ণ না, আমি মনে করি না। এটা কোনো বৈধতা দেয় না।
“আমাদের দলের দুই জনের ব্যাপারে যদি জানতে চান প্রথম জনের (সুলতান মো. মনুসর) শেষ। প্রসেস ইজ কমপ্লিট। উনাকে আগের কমিটি চিঠি দিয়েছে, বহিষ্কার করেছে।
“আরেকজনের ব্যাপারে। এই কমিটিতে প্রেসিডিয়াম লিস্টে উনার (মোকাব্বির খান) নাম আছে। এরপরও উনার বিষয়টি আমরা কীভাবে বুঝাব আমি জানি না। লিস্টে তার নাম ঘোষণার পরও কেন ‘কনফিউজিং’ আমি বুঝতে পারছি না।”
মোকাব্বির খানকে দেওয়া কারণ দর্শানোর নোটিশের বিষয়ে অগ্রগতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমরা (গণফোরাম) উনার উত্তরে স্যাটিসফাইড। সো...।”