নুসরাত জাহান রাফিসহ দেশের সব ধর্ষণ-হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতনের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর মুক্তাঙ্গনে ঢাকা-সোনাগাজী রোড মার্চের আগে এক সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।
সেলিম বলেন, “বর্তমানে বেড়ে চলা ধর্ষণ-হত্যাকাণ্ড-নির্যাতনের সঙ্গে সম্পৃক্ততা বিদ্যমান রাষ্ট্র, সমাজ ও সরকার অস্বীকার করতে পারে না।
“নুসরাত জাহান রাফি যেভাবে যৌন নিপীড়ন ও হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন, তা বিদ্যমান ব্যবস্থা ও সরকারের ভূমিকাকে উলঙ্গভাবে প্রকাশ করেছে।”
ধর্ষণ-নির্যাতন বেড়েই চলেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “নুসরাতসহ সকল ধর্ষণ-হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।”
নুসরাতের হত্যাকাণ্ডে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি তুলে সেলিম বলেন, “সরকার নির্যাতনকারী, ধর্ষণকারী, খুনিদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে। জনগণকে বিবেক জাগ্রত করতে হবে। নৈতিক শক্তিকে বিজয়ী করতে হবে।”
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক, বাসদ নেতা বজলুর রশীদ ফিরোজ।
সিপিবি নেতা কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন, আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন, অনিরুদ্ধ দাশ অঞ্জন, জলি তালুকদার, আহসান হাবিব লাবলু, রুহিন হোসেন প্রিন্স, ফজলুর রহমান, মনিরা বেগম অনু, লুনা নূর, জলি তালুকদার উপস্থিত ছিলেন সমাবেশে।
সমাবেশ শেষে ঢাকা থেকে নুসরাতের বাড়ি সোনাগাজীর উদ্দেশে রোড মার্চ যাত্রা করে। এতে সিপিবি, বাম গণতান্ত্রিক জোট, বাংলাদেশ কৃষক সমিতি, বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতি, সিপিবি নারী সেল, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নসহ বিভিন্ন প্রগতিশীল দল, সংগঠনের নেতাকর্মীরা যোগ দেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ফেনী প্রতিনিধি জানান, বিকালে বাম নেতা-কর্মীরা ফেনীর সোনাগাজী পৌঁছে সোনাগাজী বাজারের জিরো পয়েন্টে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে।
সিপিবির সোনাগাজী উপজেলা সভাপতি গোফরান মোল্লার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিপিবির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শাহ আলাম, রুহিন হোসেন প্রিন্স, সাজ্জাদ জহির চন্দন, লুনা নুর প্রমুখ।
তারা নুসরাত হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার দাবি করেন। এই হত্যাকাণ্ডের ইন্ধনদাতাদের গ্রেপ্তারের দাবিও করেন তিনি।
তার আগে রোডমার্চের নেতাকর্মীরা নুসরাতের বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।
সোনাগাজী থেকে তারা সন্ধ্যায় ফেনী শহরের জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধন করেন।