ফখরুলসহ বাকিরাও শপথ নেবেন, আশা হানিফের

ভোটে জনগণের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির নির্বাচিত সবাই শপথ নিয়ে সংসদে যাবেন বলে আশা করছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 April 2019, 01:31 PM
Updated : 26 April 2019, 01:31 PM

শুক্রবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ মহিলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ আশা প্রকাশ করেন।

দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে বিএনপির প্রথম সাংসদ হিসেবে ঠাকুরগাঁও-৩ আসন থেকে নির্বাচিত জাহিদুর রহমান জাহিদ বৃহস্পতিবার শপথ নেন।

সে প্রসঙ্গ টেনে হানিফ বিএনপির নির্বাচিতদের উদ্দেশে বলেন, “বিএনপির একজন গতকাল শপথ নিয়েছেন। জনগণের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আগামী ৩০ তারিখের মধ্যে আপনারা শপথ নেবেন আশা করি।”

গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচনে মাত্র ছয়টি আসন পায় বিএনপি। গণফোরামের দুটি মিলিয়ে ঐক্যফ্রন্ট পায় মোট আটটি আসন।

এ জোটের পক্ষ থেকে সংসদে না যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া হলেও প্রথমে গণফোরামের দুজন এবং এরপর বিএনপির জাহিদ শপথ নিলেন।

এর পেছনে ‘সরকারের চাপ’ রয়েছে বলে মির্জা ফখরুল মন্তব্য করলেও জাহিদের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। 

মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ্য করে হানিফ বলেন, “আপনি কথায় কথায় গণতন্ত্রের কথা বলেন, কিন্তু যে জনগণ আপনারাকে ভোট দিয়েছে, সেই জনগণের প্রতি আপনি শ্রদ্ধা দেখাতে পারছেন না। সেই জনগণ থেকে সফলতা নিয়ে সেই জনগণকে আপনি অবজ্ঞা জানাচ্ছেন।”

বিএনপিকে ভোটারদের প্রতি ‘সম্মান’ দেখানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “আপনারা যদি ভেবে থাকেন যে শপথ না নিয়ে এভাবেই আপনারা দায়িত্ব পালন করবেন, তাহলে এটি ভুল হবে। আপনারা যদি শপথ না নিয়ে সংসদে যোগদান না করেন, তাহলে ওই এলাকার জনগণ আপনাদেরকে আর ভোট দেবে না এবং ভোটারদের প্রতি আপনারা অসম্মান করবেন।“

শ্রীলংকায় বোমা হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হানিফ বলেন, “ধর্মের নাম করে উগ্রবাদ সহ্য করা হবে না। সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদে যারা জড়িত তারা মানবতার শত্রু, সমাজের শত্রু, দেশের শত্রু, এদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।”

খালেদা জিয়ার আমলে শেখ হাসিনার ওপর হামলা হওয়ার কথা মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, “এই দেশের প্রথম সন্ত্রাস শুরু হয়েছে ১৫ অগাস্ট জাতির পিতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে। এটি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ছিল। জাতির পিতাকে হত্যার মাধ্যমে এদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা করা হয়েছিল।

“খালেদা জিয়া যতবার ক্ষমতায় এসেছে, প্রত্যেকবার হামলা হয়েছে শেখ হাসিনার উপর, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর উপর।”

মহিলা আওয়ামী লীগের ঢাকা দক্ষিণের সভাপতি সাবেরা বেগমের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিয়া খাতুন ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম ক্রিক বক্তব্য দেন।

জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের এমপি ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা, জান্নাতুল বাকিয়া, নার্গিস রহমান ও শবনম জাহান শীলাকে এ অনুষ্ঠানে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।