শুক্রবার গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, “যে জনপ্রতিনিধিরা শপথ নিয়েছে, তারা স্বেচ্ছায় শপথ নিয়েছে। সেখানে সরকারের কোন চাপ নেই। আমরা চাপ দিতে যাব কেন?”
গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচনে ভরাডুবির পর ‘ভোট ডাকাতির’ অভিযোগ তুলে সংসদে না যাওয়ার ঘোষণা দেয় বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট।
কিন্তু গণফোরামের সুলতান মনসুর ও মোকাব্বির খানের পর বিএনপির জাহিদুর রহমান জাহিদ বৃহস্পতিবার এমপি হিসেবে শপথ নেন।
সাংবাদিকরা শুক্রবার সকালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, শপথ নিতে সরকারের তরফ থেকে কোনো চাপ আছে কি না।
উত্তরে ফখরুল বলেন, “নিঃসন্দেহে, সব সময়ই থাকে, যে সরকারই আসুক, এ ধরনের সরকার যারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয় না, তাদেরকে এভাবে ভিন্ন অগণতান্ত্রিক কৌশলেই চেষ্টা করতে হয় ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য।”
“খালেদা জিয়াকে কিন্তু রাজনৈতিকভাবে গ্রেপ্তার করিনি। দুর্নীতির কারণে কোর্টের মাধ্যমে সাজাপ্রাপ্ত এবং শাস্তি সে ভোগ করছে। তার বিরুদ্ধে মামলা করেছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকার। আদালতকে আমরা প্রভাবিত করিনি।”
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, “বিএনপি একটা রাজনৈতিক দল। (শপথের বিষয়ে) যেটাই তারা করুক সেটা তাদের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। একটা দল তার নিজের সিদ্ধান্ত নেবে। অন্য কোনো দল সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে পারে না।
“দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র আছে। সকলের দল করার সুযোগ আছে, করে যাচ্ছে। নির্ভর করে কোন দল জণগনের কাছে কতটা বিশ্বাসযোগ্যতা, গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করতে পারল।”
দুর্নীতি মামলায় কারাবন্দি খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তির সম্ভাবনা নিয়ে যে গুঞ্জন রয়েছে সে বিষয়েও প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন একজন সাংবাদিক।
উত্তরে শেখ হাসিনা বলেন, “প্যারোলের জন্য আবেদন করতে হয়। এখানে কেউ আবেদন করেনি এখনো। যেহেতু কেউ আবেদন করেনি, সেখানে আমার কমেন্ট করার কিছু নেই।”