জাতীয় প্রেস ক্লাবে শনিবার এক আলোচনা তিনি বলেন, “ন্যুনতম উদারতা যদি সরকারের মধ্যে থাকে তাহলে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জামিনে মুক্ত করে দিতে পারে, মামলা যদি প্রত্যাহার নাও করে জামিনে মুক্ত করে দিতে পারে। কারণ জামিনে বাধা তো দেয় অ্যাটর্নি জেনারেল অর্থাৎ সরকার, জামিনে বাধা দেয় এন্টি করাপশন কমিশন- সেটাও সরকার।
“অ্যাটর্নি জেনারেল যদি আপত্তি না করেন, বাধা না দেয় তাহলে জামিন হওয়ায় তো কোনো সমস্যা নেই। তিনদিনের মধ্যে জামিন হয়ে যাবে। তিনটা মামলা বাকী আছে তার জামিন হওয়ার। কিন্তু ওইটুকু উদারতা আমরা সরকারের মধ্যে দেখছি না।”
দুর্নীতির দুই মামলায় সাজা নিয়ে কারাবন্দি খালেদা জিয়াকে গত ১ এপ্রিল চিকিৎসার জন্য বিএসএমএমইউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের ৬২১ নম্বর কেবিন রেখে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
খালেদা জিয়ার অবস্থা তুলে ধরে নজরুল ইসলাম খান বলেন, “বেগম খালেদা জিয়া দারুনভাবে অসুস্থ। বয়স ৭৪ বছর। মহান স্বাধীনতার ঘোষকের স্ত্রী, সাবেক সেনাপ্রধান, সাবেক রাষ্ট্রপতির স্ত্রী, তিন বারের প্রধানমন্ত্রী, দুই বারের বিরোধীদলীয় নেতা অসুস্থ। এই অসুস্থ মানুষটার যেখানে সুচিকিৎসা হবে, যেভাবে উনি চাইবেন সেরকম একটু চিকিৎসার ব্যবস্থা করা কী এতোই কঠিন কাজ?”
আন্দোলন সম্পর্ক তিনি বলেন, “আন্দোলন যে প্রক্রিয়ায় চলছে এটা সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলছে। কিন্তু প্রয়োজনে আন্দোলনের ধরন যে পরিবর্তিত হতে পারবে না এমন কোনো কথা নেই, হতে পারে। কিন্তু সেটা আবেগের বশবর্তী হয়ে আমরা করব না। ভ
“সেটা করব প্রস্তুতি নিয়ে, দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী করব ইনশাল্লাহ। আমি আশা করে সেদিন আপনাদের সবাই পাব।”
খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনের বিগত কর্মসূচিতে দলীয় নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি কম হওয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন দলের স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।
প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে জাতীয়তাবাদী কর্মজীবী দলের ১২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এই আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, কেন্দ্রীয় নেতা এবিএম মোশাররফ হোসেন, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, ফাতেমা সালাম, মাইনুল ইসলাম, মিয়া মো. আনোয়ার, কেএম রফিকুল ইসলাম রিপন প্রমুখ বক্তব্য দেন।