শবে মেরাজ উপলক্ষে বুধবার দলের নয়া পল্টনের কার্যালয়ে মিলাদের আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বলেন, “দেশনেত্রী কারাগারে থাকতেই সরকারি ডাক্তাররা অনেকে গিয়েছেন, তারা বলেছেন উনার অসুস্থতা গুরুতর। আর তিনি পিজিতে আসার সাথে সাথেই হাসপাতালের পরিচালক বলে দিলেন যে উনি খুব একটা অসুস্থ নন।”
“তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা হল না, কোনো ধরনের ডায়াগনোসিস হল না, পিজির পরিচালক বলে দিলেন যে উনার অসুস্থতা গুরুতর নয়। পরিচালক তো নিজের মুখে বলেছেন না। শেখ হাসিনা যেটা বলে দিচ্ছেন, সরকার যেটা বলে দিচ্ছেন, সেই কথাই পিজির পরিচালক বলছেন। চাকরি রক্ষা করার জন্য, পরিচালকের পদ ধরে রাখার জন্য, একজন মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঢেলে দেওয়ার জন্য, ডাক্তাররা নিজেদের পদ ধরে রাখার জন্য শেখ হাসিনার ভাষায় কথা বলছেন।”
খালেদা জিয়াকে গত সোমবার পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে ভর্তি করার এক ঘণ্টা পর হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল কেএম মাহবুবুল হক সংবাদ ব্রিফিঙে বলেছিলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসা শুরু হয়েছে। তিনি সুস্থ আছেন।
তবে মঙ্গলবার হাসপাতাল পরিচালক সাংবাদিকদের জানান, বিএনপিপ্রধানের শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে ভালো।
“আজকে আমাদের ভয় হচ্ছে যে, সরকার কারাগারের মধ্যে তাকে চিকিসার নামে অন্যকিছু করছে কিনা? কোনো স্লো পয়জনিং করা হচ্ছে কিনা- এটা এখন জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। আজকে তিনি গুরুতর অসুস্থ হলেন কেন?”
মিলাদের আগে উলামা দলের শাহ নেসারুল হক, নজরুল ইসলাম তালুকদার, কাজী আবুল হোসেন শবে মেরাজের তাৎপর্য তুলে ধরেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, হাসান জাফির তুহিনসহ নেতাকর্মীরা মিলাদে অংশ নেন।