সোমবার বিকালে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় গণহত্যা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন চৌদ্দ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম।
তিনি জানান, গণতন্ত্রী পার্টির উদ্যোগে ২৮ মার্চ, ওয়ার্কার্স পার্টির উদ্যোগে ৩০ মার্চ এবং গণআজাদী লীগের উদ্যোগে ৩১ মার্চ রাজধানীতে স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভা হবে। ১৪ দলের শীর্ষ নেতারা এসব আলোচনায় অংশ নেবেন।
সমাবেশে নাসিম বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ‘নিস্তেজ হলেও নিঃশেষ’ হয়ে যায়নি।
“দেশের প্রতি ইঞ্চি জমিতে তাদের চক্রান্ত প্রতিহত করা হবে। আর কোনো দিন তাদের ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হবে না। গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য জাতিসংঘেকে পদক্ষেপ নিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানাই।”
চৌদ্দ দলের মুখপাত্র বলেন, “বিএনপি-জামায়াত রাজাকাররা এখনো গণহত্যা দিবস মানে না। স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভুলণ্ঠিত করেছেন। বাহাত্তরের সংবিধান ছিন্নভিন্ন করে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়েছেন।”
সড়কে নৈরাজ্য, মাদক ও নারী-শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে আসছে এপ্রিল মাস থেকে ১৪ দলের বিভিন্ন কর্মসূচি শুরু হবে বলে জানান তিনি।
নাসিম বলেন, “সড়কে নৈরাজ্যকারী, মাদক কারবারি ও নারী-শিশু নির্যাতনকারীরা একাত্তরের ঘাতকদের চেয়ে কোনো অংশে কম অপরাধী নয়।"
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন সমাবেশে বলেন, “একাত্তরের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায় করতে হবে। এক্ষেত্রে সঠিকভাবে দাবি উত্থাপন করতে হবে।"
জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, "বিএনপি-জামায়াত পিছু হটলেও এখনো আত্মসমর্পণ করেনি। অতীতের কর্মকাণ্ডের জন্য তারা এখনো ক্ষমা চায়নি। এ কারণে আনন্দে ভাসা কিংবা স্বস্তির নিঃশ্বাস না ফেলে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, “পাকিস্তানের দোসর বিএনপি-জামায়াতের জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত। ২৫ মার্চের গণহত্যা পৃথিবীর মধ্যে সর্ব বৃহৎ গণহত্যা।"
মোহাম্মদ নাসিমের নেতৃত্বে ১৪ দলের শীর্ষ নেতারা সমাবেশের আগে ২৫ মার্চ কালরাতে জীবন দেওয়া শহীদদের স্মরণে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দীলিপ বড়ুয়ার সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে আওয়ামী লীগের নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির (জেপি) সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম, জাসদ নেতা মাঈন উদ্দিন খান বাদল, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহ্বায়ক ওয়াজেদুল ইসলাম খান, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন, বাসদ নেতা রেজাউর রশিদ খান, গণ আজাদী লীগের এস কে শিকদার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ বক্তব্য দেন।