জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে কেন্দ্রীয় ১৪ দল আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
নাসিম বলেন, “এখন চার দিকে শুধু আওয়ামী লীগার। এ কারণে আমার ভয় হয়, আমি আতঙ্কিত। এই নব্য আওয়ামী লীগারদের অতীতে রাজপথে পাইনি। এরা বিএনপি-জামায়াতের চেয়ে ভয়ঙ্কর। মনে রাখতে হবে, বঙ্গবন্ধুর পাশে মুশতাকও কিন্তু ছিলেন। বর্ণচোরার দল নতুন রূপে নতুনভাবে আবির্ভূত হয়েছে।”
দেশ এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ‘দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র বাড়ছে বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু।
তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। তবে দেশ যত এগিয়ে যাবে ষড়যন্ত্র তত বেশি হবে। শত্রুরা আঘাত হানার চেষ্টা করবে তাই সবার সতর্ক থাকতে হবে।
“পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বাংলাদেশ পাকিস্তানি কায়দায় পরিচালনা করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এখন দেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এগিয়ে যাচ্ছে।”
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, “বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ছড়িয়ে দিতে হবে। এক্ষেত্রে স্বাধীনতা পরবর্তী বঙ্গবন্ধুর গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্যগুলো সংকলন আকারে নতুন প্রজন্মের মাঝে পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নিতে হবে।”
জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, “সম্প্রদায়িকতা রুখে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সমৃদ্ধ দেশ গড়তে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। যুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি। দুর্নীতি, বিশাল বৈষম্য ও দলবাজি বন্ধ করতে হবে।”
কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিমের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আক্তার, জাতীয় পার্টির (জেপি) সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী শেখ শহীদুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন, সাম্যবাদী দলের এমএ গণি, বাসদের রেজাউর রশীদ খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দিলীপ রায়।