বিছানা থেকে একা উঠতে পারেন না খালেদা: ফখরুল

কারাবন্দি খালেদা জিয়ার অসুস্থতা ‘গুরুতর’ পর্যায়ে পৌঁছেছে দাবি করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তাদের নেত্রী এখন ‘অন্যের সাহায্য ছাড়া বিছানা থেকে উঠতে পারেন না’।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 March 2019, 02:34 PM
Updated : 10 March 2019, 02:40 PM

দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ড নিয়ে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি খালেদা জিয়া আর্থ্রাইটিসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছেন। চিকিৎসার জন্য রোববার বিএনপি চেয়ারপারসনকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে নেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হলেও তার আপত্তিতে তা হয়নি বলে জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।

সকালে খালেদাকে হাসপাতালে নেওয়ার প্রস্তুতির মধ্যেই সেগুনবাগিচায় রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের এক সভায় দলীয় চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থা নিয়ে কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল।

অসুস্থ খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য রোববার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আনার প্রস্তুতি নেওয়া হলেও তার আপত্তিতে তা আর হয়নি

তিনি বলেন, “বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে এতো অসুস্থ যে উনি এখন সোজা হয়ে বসতে পারেন না। তার আলাদা সাহায্যকারী দরকার হয় যারা তাকে বিছানা থেকে তোলেন। একটা নির্জন কারাগারে তাকে রাখা হয়েছে, যেটা মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।”

আওয়ামী লীগ সরকারের কঠোর সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, “বেইনসাফি ও অবিচারের যেসব ঘটনা ঘটছে তার বর্ণনা অসংখ্যভাবে দেওয়া যাবে, যা বলে শেষ হবে না।”

এই অবস্থা থেকে উত্তরণে কৃষক দলের নেতা-কর্মীদের সাংগঠনিকভাবে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান ফখরুল।

সরকারের প্রতি আহ্বান রেখে তিনি বলেন, “দেশে যদি সত্যিকার অর্থেই একটা সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করতে চান, একটা গণতান্ত্রিক আবহাওয়া সৃষ্টি করতে চান তাহলে অবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। কারণ উনি হচ্ছেন গণতন্ত্রের প্রতীক, সারাটা জীবন গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন, এখন যে কারাগারে আছেন শুধুমাত্র এই গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করার কারণেই।

“আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, যে তামাশার নির্বাচন আপনারা করেছেন ওটার ফলাফল বাতিল করতে হবে, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আরেকটি নির্বাচন অতি দ্রুত দিতে হবে। যদি দেশকে বাঁচাতে চান, সমাজকে রক্ষা করতে চান, মানুষের জন্য একটা ভবিষ্যৎ তৈরি করতে চান।”

অন্যথায় সব দায়-দায়িত্ব এই সরকারকেই বহন করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন বিএনপি মহাসচিব।  

কৃষক দলের আহ্বায়ক শামসুজ্জামান দুদু বলেন, “এদেশে যা কিছু সুন্দর, যা কিছু ভালো সব জিয়াউর রহমান এবং বেগম খালেদা জিয়ার হাত দিয়ে পেয়েছি আমরা। তার সব কিছু ধ্বংস করেছে এই অবৈধ সরকার।

“অসুস্থ বেগম জিয়াকে বাঁচাতে চাইলে, মুক্ত করতে চাইলে এবং গণতন্ত্রকে বাঁচাতে চাইলে, প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে আন্দোলন ছাড়া কোনও বিকল্প কিছু নেই।”

কৃষক দলের সদস্য সচিব হাসান জাফির তুহিনের পরিচালনায় সংগঠনের নেতা তকদির হোসেন মো. জসিম, নাজিম উদ্দিন, জামাল উদ্দিন খান মিলন, সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী, জিয়াউল হায়দার পলাশ, মাইনুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।