সিঙ্গাপুরে তার সঙ্গে থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু নাসার রিজভী রোবাবর এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, মাউন্ট এলিজাবেথের কার্ডিও থোরাসিক সার্জন ডা. সিবাস্টিন কুমার সামি সকালে ওবায়দুল কাদেরের সর্বশেষ পরিস্থিতি তার পরিবারের সদস্যদের জানান।
এর আগে ডা. রিজভী শনিবার জানিয়েছিলেন, সেতুমন্ত্রী কাদেরের শরীর থেকে সব ধরনের যন্ত্র খুলে ফেলা হয়েছে।তিনি চিকিৎসক ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে পারছেন।
“সেতুমন্ত্রীর শরীরের সব একস্ট্রার্নাল ডিভাইস খুলে নেওয়া হয়েছে। তার লাস্ট যে এন্ডোটাকিয়াটা ছিল, সেটাও খুলে নেওয়া হয়েছে। এখন উনি সব ডিভাইসমুক্ত।”
ওবায়দুল কাদেরের হৃদযন্ত্র ও রক্তচাপ স্থিতিশীল রয়েছে এবং তার রক্তের সংক্রমণ ও কিডনির অবস্থাও নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে বলে মাউন্ট এলিজাবেথের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
৬৭ বছর বয়সী ওবায়দুল কাদের হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ছাড়াও শ্বাসতন্ত্রের জটিল রোগ সিওপিডিতে (ক্রনিক অবসট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ) ভুগছেন।
গত ৩ মার্চ সকালে শ্বাসকষ্ট নিয়ে তিনি ঢাকার বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে ভর্তি হলে এনজিওগ্রামে তার হৃদপিণ্ডের রক্তনালীতে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে।
এর মধ্যে একটি ব্লক স্টেন্টিংয়ের মাধ্যমে অপসারণ করেন চিকিৎসকরা। অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল হলে পরদিন বিকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার আম্বুলেন্সে করে তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়।
সেদিন রাতেই একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করে ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসা শুরু করেন মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
কাদেরের সঙ্গে তার স্ত্রী ইসরাতুন্নেসা কাদের ও ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মীর্জা এখন সিঙ্গাপুরে রয়েছেন।