৭ মার্চ শপথ নিতে চান সুলতান মনসুর ও মোকাব্বির

দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন সুলতান মোহাম্মদ মনসুর ও মোকাব্বির খান।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 March 2019, 03:05 PM
Updated : 6 March 2019, 01:47 PM

আগামী ৭ মার্চ শপথ নিতে চান জানিয়ে শনিবার দুপুরে তারা জাতীয় সংসদের স্পিকারকে চিঠি দিয়েছেন বলে সুলতান মনসুর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।

একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে কামাল হোসেনের গণফোরামে নাম লিখিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে মৌলভীবাজার-২ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হন সুলতান মনসুর। আর মোকাব্বির খান গণফোরামের দলীয় প্রতীক উদীয়মান সূর্য নিয়ে সিলেট-২ আসন থেকে বিজয়ী হন। ওই আসনে ধানের শীর্ষের প্রার্থী না থাকায় বিএনপির সমর্থন পেয়েছিলেন তিনি।

কামাল হোসেন নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে গত ৩০ ডিসেম্বরের এই নির্বাচনে অংশ নিয়ে মাত্র ছয়টি আসনে জয় পায় বিএনপি। নির্বাচনে ‘ভোট ডাকাতির’ অভিযোগ তুলে পুনর্নির্বাচনের দাবি তুলেছে তারা। দলটির নির্বাচিতরা সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেবেন না বলেও ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।

ঐক্যফ্রন্ট নেতা কামাল হোসেন শুরুতে তার দলের দুই নেতার শপথের বিষয়টিকে ‘ইতিবাচক’ হিসেবে দেখলেও বিএনপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সুর বদলায়।

সুলতান মোহাম্মদ মনসুর ও মোকাব্বির খান

গত ৩১ জানুয়ারি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর কামাল হোসেন বলেন, “দলীয় সিদ্ধান্ত উনাদের (দুইজনকে) স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয়েছে যে, এটা (শপথগ্রহণ) করবেন না।”

দলের এই সিদ্ধান্ত সম্পর্কে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সুলতান মনসুর শনিবার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বাদ দেন তো দলের কথা। যারা ভোট দিয়ে আমাদের জয়ী করেছেন, তাদের প্রাধান্য দেন।”

সুলতান মনসুর ও মোকাব্বির খানের শপথ গ্রহণের বিষয়ে জানতে চাইলে স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, নির্বাচিতরা সংসদের প্রথম অধিবেশন থেকে ৯০ দিনের মধ্যে শপথ নিতে পারেন। একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন হয়েছে গত ৩০ জানুয়ারি।

“সেক্ষেত্রে তারা শপথ গ্রহণের বিষয়ে সংসদকে জানালে আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।”

ডাকসুর সাবেক ভিপি ও ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সুলতান মনসুর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকও হয়েছিলেন। ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থার মধ্যে সংস্কারপস্থি হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার পর আওয়ামী লীগের পদ হারান তিনি।

এবার জাতীয় নির্বাচনের আগে রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে কামাল হোসেনের গণফোরামের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হন তিনি। নির্বাচন ঘিরে কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপিকে নিয়ে গড়ে ওঠা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটিরও সদস্য তিনি। মোকাব্বির খানও গণফোরামের সভাপতিমণ্ডলী ও ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য।