ভাষা শহীদ দিবসে বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নে একথা বলেন তিনি।
ফখরুল বলেন, “যে চেতনার ভিত্তিতে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন হয়েছিল, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিলো। সেই চেতনা আজকে ভুলণ্ঠিত।
“আমরা আজকে যে গণতান্ত্রিক অধিকার, সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত। গোটা জাতি আজকে তার মৌলিক অধিকার হারিয়ে ফেলেছে।”
খালেদা জিয়াকে ‘অন্যায়ভাবে’ কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব। দলীয় চেয়ারপারসনসহ বিরোধী নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবি জানান তিনি।
একুশের শহীদসহ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে ফখরুল বলেন, ১৯৫২ সালে রাষ্ট্রভাষা উর্দু করার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষ রুখে দাঁড়িয়েছিল এবং বীর ছাত্ররা সেদিন মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষায় স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিল। এই দিনে প্রোথিত হয়েছিল স্বাধীনতার মুক্তির বীজ। সেই বীজ থেকে অঙ্কুরিত হয়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশ।
সকাল ১০টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বিএনপি নেতা-কর্মীরা শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম, জয়নুল আবদিন ফারুক, খায়রুল কবির খোকন, শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, তাবিথ আউয়াল, শামীমুর রহমান শামীম, মীর নেওয়াজ আলী, হারুনুর রশীদ হারুন, আমিরুজ্জামান শিমুল, ফরহাদ হোসেন আজাদ, ঢাকা মহানগর নেতা কাজী আবুল বাশার, মুন্সি বজলুল বাসিত আনজু, আহসানুল্লাহ হাসান, যুবদলের মোরতাজুল করীম বাদরু, নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের শফিউল বারী বাবু, আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, ইয়াসীন আলী, হেলেন জেরিন খান, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসেইন, নুরুল ইসলাম নাসিম, জাসাসের হেলাল খান, শায়রুল কবির খান, সালাহউদ্দিন ভুঁইয়া জুয়েল, ড্যাবের রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, উলামা দলের শাহ নেসারুল হক, মুক্তিযোদ্ধা দলের ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাদেক আহমেদ খান, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
এর আগে বিএনপি মহাসচিবের নেতৃত্বে দলটির নেতারা সকাল ৮টায় আজিমপুরে কবরস্থানে ভাষা শহীদদের কবর জিয়ারত করে। তারা শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করেন।